ঘর থেকে তুলে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৮:৪২
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মো. শাহাবুদ্দিন (৩৫) নামের এক যুবককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে সাতকানিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুবেদার পুকুরপাড় থেকে পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে অটোরিকশায় তুলে নেওয়া হয় বলে সাহাবুদ্দিনের স্ত্রীর ভাষ্য। এ ঘটনায় তিনি শিবির ক্যাডার পা কাটা শহিদ ও মিনহাজকে দায়ী করেছেন।
নিহত শাহাবুদ্দিন উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁচি বেপারিপাড়ার নুর আহমদের ছেলে। শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফারজানা বেগমের ভাষ্য, শহিদ ও মিনহাজের নেতৃত্বে কয়েকজন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে বের করে। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। তিনি শাহাবুদ্দিনকে যেতে মানা করলেও শোনেননি। কয়েক দফায় ফোন নম্বরে কল দিলেও ধরেননি। ওইদিন বিকেলে কল ধরলেও কথা বলেননি।
শনিবার সকালে পৌরসভার বণিকপাড়ায় স্বামীর লাশ পাওয়ার তথ্য পান ফারজানা। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তাঁকে শহিদ ও মিনহাজ পিটিয়ে হত্যা করেছে।’ তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। শাহাবুদ্দিন আগে বিদেশ থাকতেন। তাঁর বাবা নুর আহমদ বলেন, পাঁচ বছর আগে ছেলে দেশে ফিরে। কয়েক বছরের মধ্যে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তিনদিন আগে পরিবারের সদস্যরা শাহাবুদ্দিনকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। এর আগেই তাঁর ছেলেকে হত্যার শিকার হতে হলো। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
শুক্রবার বিকেলে দেওদীঘি তহশিলদার অফিসের পাশের বিলে শাহাবুদ্দিনকে মারধর করা হচ্ছিল। আলুক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে ঘটনাটি দেখেছিলেন বলে জানান এওচিয়ার আবুল হাশেম। তিনি বলেন, বিলের পূর্ব পাশের গাছবাগানে শহিদ ও মিনহাজসহ সাতজন মিলে একজনকে মারধর করছিল। তাঁকে দেখতে পেয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটাতে থাকে। এক বন্ধুর সহায়তায় তিনি ছাড়া পান।
মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আহমদ মিয়ার ভাষ্য, শাহাবুদ্দিন মাদকাসক্ত ছিল। এর সূত্র ধরে মাদক কারবারী শহিদ ও মিনহাজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কেনে বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে হত্যার শিকার হতে পারেন তিনি।
মন্তব্য জানতে শহিদ ও মিনহাজের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মাদক সংক্রান্ত বলে তথ্য পেয়েছ পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি। শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবার মামলা করলে আইনগত নেব।’
- বিষয় :
- চট্টগ্রাম
- পিটিয়ে হত্যা
- যুবককে হত্যা