ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সম্পদে সবচেয়ে এগিয়ে টিটু, ধারেকাছে নেই অন্যরা

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

সম্পদে সবচেয়ে এগিয়ে টিটু, ধারেকাছে নেই অন্যরা

.

 নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ 

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০০:২২ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১৪:১৮

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নিবার্চনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচজনের মধ্যে সম্পদে এগিয়ে রয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু। তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্য প্রার্থীরা। 

মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। পেশা ব্যবসা। তাঁর নগদ রয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ব্যাংকে ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার টাকা, কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। টিটুর যানবাহনের মূল্য ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ৪ লাখ টাকা, আসবাব ২ লাখ টাকার। অংশীদারি ব্যবসায় রয়েছে ৯১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। শেয়ার মূলধন আয় ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এ ছাড়া কৃষিজমি ৭৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, যার মূল্য ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অকৃষিজমির মূল্য ২ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। নিজ নামে দালানের মূল্য ধরা হয়েছ ৪ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। পদ্মা ব্যাংকে দেনা দেখিয়েছেন ২ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দেনা ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।

ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। তাঁর কাছে নগদ রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। দুটি বাস-ট্রাকের মূল্য দেখিয়েছেন ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবের মূল্য ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। একটি চার তলা বাড়ির মূল্য ১৮ লাখ টাকা। গাড়ি কেনায় ঋণ দেখিয়েছেন ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় ২ লাখ ৭০ হাজার এবং ব্যবসা থেকে আয় ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া নির্ভরশীলদের চাকরি থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার টাকা।

হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু বিএ, এলএলবি পাস করা। তাঁর হাতে নগদ ৯৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৯৭ হাজার টাকা এবং নিজের ১০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ও আসবাবের মূল্য ১ লাখ টাকা। এ ছাড়া অকৃষিজমি রয়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, যার মূল্য তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৯০ হাজার টাকা, শিক্ষকতা, চিকিৎসা এবং আইন পেশা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং জমি বিক্রি থেকে আয় ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।

হরিণ প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক লড়াই করছেন। পিএইচডি করার পাশাপাশি তিনি আইনজ্ঞও। তাঁর কাছে নগদ টাকা রয়েছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার। বৈবাহিক সূত্রে স্বর্ণ পেয়েছেন ৩০ ভরি।

অকৃষিজমি রয়েছে ৫৫ শতাংশ। শিক্ষকতা, চিকিৎসা ও আইন পেশায় তাঁর আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। তাঁর হাতে নগদ টাকা ৫ লাখ ৭৫ হাজার এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ ৩ লাখ টাকা। 

মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের জমজমাট প্রচার
ময়মনসিংহ নগরীতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। মাইকিং চলছে নগরজুড়ে। মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে দিনরাত চালাচ্ছেন প্রচারকাজ। এতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে পুরো নগরীতে। 

আরও পড়ুন

×