হত্যার পর হাতির মাংস খেয়ে পুঁতে রাখা হয় হাড়গোড়

ছবি- সমকাল
রাঙামাটি অফিস ও কাপ্তাই প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪ | ২২:০৪
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে হাতির মাংস খাওয়ার পর হাড়গোড় পাহাড়ে পুঁতে রেখেছিল এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি। তবে তা লুকানো সম্ভব হয়নি। বন বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুঁতে রাখা হাতির চোয়াল, পায়ের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে।
রোববার সন্ধ্যার দিকে কাপ্তাই উপজেলাধীন রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালার চন্দনি পাড়া নামক স্থান এসব উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বন কর্মকর্তা, কর্মচারীরা রোববার সন্ধ্যার দিকে রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালার চন্দনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় তারা পাহাড়ে তল্লাশি চালিয়ে হাতির নিচের চোয়ালের অংশ, পায়ের হাড়সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের আওতাধীন রাইখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থানে গিয়ে মাটি খনন করে তল্লাশি চালিয়ে হাতির হাঁড়গোড়সহ কয়েকটি অংশ খুঁজে পাওয়া যায়। স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি বন্য হাতিটি হত্যা করে মাংস ভক্ষণের পর হাড়গুলো মাটিতে পুঁতে রাখে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার করা হাতির হাঁড়সহ অন্যান্য অংশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকাস্থ পশু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় বন বিভাগের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালা এলাকার কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি একটি বন্য হাতি হত্যা করে তার মাংস খেয়ে হাড়গোড় ওই এলাকায় পুঁতে রাখে বলে গত বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অনুসন্ধান চালিয়েও হাড় পুঁতে রাখার জায়গাটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘ অভিযান চালিয়ে ডংনালার চন্দনি পাড়া এলাকার একাধিক জায়গায় মাটি খনন করে হাতির বিপুল পরিমাণ হাড়গোড় ও শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
- বিষয় :
- হাতি
- হাতি হত্যা