ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ৩ ভাইবোনকে পেটাল বখাটেরা

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ  করায় ৩ ভাইবোনকে  পেটাল বখাটেরা

বখাটেদের হামলায় মিন্টুর মাথা ফেটে যায়। ছবি: সমকাল

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪ | ১৮:৩৪ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ | ১৮:৪১

যশোরের মনিরামপুরে বড় বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গত বুধবার রাতে ছোট ভাই মিন্টু হোসেনকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে বখাটেরা। এ ঘটনায় পরিবারটি এতই আতঙ্কিত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, দু’দিন পর শুক্রবার সকালে মিন্টুর অসুস্থ মা মারা যান। ওই দিনই বিকেলে দুই বোন ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় উপজেলার কুয়াদা বাজারে ওই বখাটেরাই আবারও হামলা চালিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তাদের উদ্ধার করতে এলে বখাটেরা ছোট ভাই মিন্টুকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত তিন ভাইবোনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

এ ব্যাপারে ওই দিনই রাতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগীদের পরিবার। তবে পরিবারটির অভিযোগ, পুলিশের কাছে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। 

এলাকাবাসী জানায়, মনিরামপুর জামজামি গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের বড় মেয়ে তানিয়া খাতুনকে পার্শ্ববর্তী সিরাজসিঙ্গা গ্রামের হাবিবুর রহমান, লিটন হোসেন ও মাহাবুবুর রহমান প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে বুধবার তানিয়ার ছোট ভাই মিন্টুর সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে বুধবার রাতে বাড়ি থেকে মিন্টুকে তুলে নিয়ে মারধর করে তারা। কুয়াদা বাজারেও তানিয়া, তাঁর ছোট বোন শেফালি ও ভাই মিন্টুকে মারধর করেছে একই বখাটেরা। 

মিন্টুর ফুফা আবদুর রাজ্জাকসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছে যাওয়ায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গতকাল সন্ত্রাসীরা তানিয়াদের বাড়ি তছনছ করে। 
তবে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কোতোয়ালি থানার একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মনিরামপুরের জামজামি গ্রামে মিন্টুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। 

এদিকে তিন ভাইবোনের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মনিরামপুর থানার ওসি মেহেদী মাসুদ। তিনি বলেন, মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ফুফা মামলা করেছেন। কোতোয়ালি থানার এএসআইর নেতৃত্বে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগটিও পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন

×