ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

এবার শজিমেক হাসপাতাল মসজিদে ইফতার স্থগিত, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

এবার শজিমেক হাসপাতাল মসজিদে ইফতার স্থগিত, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

শজিমেক হাসপাতাল মসজিদে ইফতার স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের গণ-ইফতার

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪ | ২৩:৫৮

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাক্ষর ছাড়াই মসজিদের দেয়ালে দুইটি স্থগিতাদেশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এই স্থগিতাদেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের কর্মচারীরা। 

মসজিদে সাঁটিয়ে দেওয়া স্থগিতাদেশে লেখা আছে, 'সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় অদ্য ১৪ মার্চ থেকে শজিমেক ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে ইফতার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।' 

এই স্থগিতাদেশের পর থেকে শজিমেকের শিক্ষার্থী ও হাসপাতাল স্টাফদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে খেলার মাঠে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার করে। 

জানা গেছে, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটি কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের নিজ অর্থায়নে এইবার রমজানে মাসব্যাপী মুসল্লিদের ইফতার করানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় রমজানে মসজিদে আসা কলেজ শিক্ষার্থী, হাসপাতাল স্টাফ ও সাধারণ মুসল্লীদের ইফতারও করানো হয়। তবে আজ তৃতীয় রমজানে দুপুরের দিকে হটাৎ সরকারি বিধি নিষেধের কারণ দেখিয়ে ইফতার স্থগিত করা হয়।  

শজিমেকের ২৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত মণ্ডল বলেন, কলেজের শিক্ষক ও হাসপাতাল প্রশাসনের উদ্যােগে পুরো রমজান জুড়েই কেন্দ্রীয় মসজিদে রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মুসল্লিরা প্রথম দুই রোজায় ইফতারে অংশ নেয়। আজ হটাৎ সরকারি বিধি নিষেধের কারণ দেখিয়ে স্থগিতাদেশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা সবাই ক্ষোভ জানিয়ে খেলার মাঠে গণ-ইফতার করেছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মসজিদ কমিটি থেকে মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। উনারাই আবার স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। সরকারি বিধি নিষেধের বিষয়ে কিছু জানিনা। 

এ বিষয়ে জানতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাদেকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এছাড়াও মসজিদ কমিটির সভাপতি ডা. আসাফুদৌল্লাহ মুঠোফোনে সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ত আছেন বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। 

এর আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন নিষেধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

×