ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পাটকলের জমি দখল করে মাদকের আস্তানা

পাটকলের জমি দখল করে মাদকের আস্তানা

ছবি: সংগৃহীত

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪ | ০৫:১৬

পাটকলের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে মাদকের আস্তানা। স্থানীয় একটি চক্র এভাবে মাদক বেচাকেনা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত রোববার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ‘দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেড’ নামে পাটকলটির এজিএম আতিকুর রহমান। সরিষাবাড়ী পৌরসভা কাযার্লয়ের পাশেই পাটকলটি।

জানা গেছে, স্থানীয় সাবেক বিজিএমসি কলোনিতে ৩০-৩৫টি পরিবার কয়েক বছর ধরে ‘দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেডের জমিতে বসবাস করে আসছেন। শুধু তাই নয়, ওই জমিতে মাদকের আস্তানা গড়ে তুলেছেন তারা। বর্তমানে জুট মিলের একাংশে দিন-দুপুরে চোলাই মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ নানা মাদক বেচাকেনা চলে। সহজলভ্য হওয়ায় উঠতি বয়সের ছেলেরা এসবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বিষয়টি সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় ওই জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করা গেলেও দখল ও মাদকমুক্ত করা যায়নি।

কথা হয় কলোনির বাসিন্দা বুলবুলি চৌহানী, ললিতা চৌহানী, মহন চৌহানী, সন্ধ্যা রবিদাসের সঙ্গে। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কলোনিতে বসবাস করছেন তারা। বাসফু সম্প্রদায়ের কয়েকটি পরিবার মদ বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে তাদেরও দোষারোপ করা হচ্ছে। এ কারণে কলোনির জায়গা থেকে তাদের চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন কারখানার এজিএম আতিকুর রহমান।

বাসন্তী বাসফু বলেন, ‘দুই দিন আগে আমার স্বামী ও ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। আমরা সুইপারের কাজ করি। মদ তো নিজেরা একটু-আধটু খাওয়ার জন্য তৈরি করি। কেনাবেচা করি না।’

এজিএম আতিকুর রহমান জানান, সরিষাবাড়ীতে কয়েকটি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। এই পাটকলটি সচল রাখতে মাদক ও দখলমুক্ত করতে হবে। তা না হলে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বিদেশি ক্রেতারা। ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কারখানা সংশ্লিষ্টদের।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগেও অভিযান চালিয়ে মাদকসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইউএনও শারমিন আক্তারের ভাষ্য, দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেডের জায়গা দখল করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে কলোনির কিছু বাসিন্দা। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য পিন্সিপাল আবদুর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কলোনির বাসিন্দাদের জন্য অন্য জায়গায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন

×