ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

চৈত্রেও যাচ্ছে না উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ

চৈত্রেও যাচ্ছে না উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ

এখন যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তাতে এটিকে শীতের আবহাওয়া বলা যায়। আজ রোববার দিনাজপুর সদর থেকে তোলা। ছবি: সমকাল

দিনাজপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪ | ১২:৪৮ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ | ১৪:৪৩

শীত বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। চলছে বসন্ত। সাধারণত এই সময়টাতে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে অস্থির থাকে চারপাশ। তবে এবার যাচ্ছেই না শীতের আমেজ। এখন যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে, তাতে এটিকে শীতের আবহাওয়া বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ রোববার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে গত শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দপ্তরটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন সমকালকে বলেন, এই সময়টাতে শীত থাকে না। তবে মূলত দুটি কারণে শীতের অনুভূতি হচ্ছে। এরমধ্যে একটি হলো- এবারে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় হিমালয়ের বরফের পুরুত্ব বেড়েছে। তাই দিনের সময়টাতে সূর্যের কারণে শীত তেমনটা প্রভাব ফেলতে না পারলেও রাতে প্রভাব ফেলছে। আর দ্বিতীয়টি হলো- ভূ-মধ্যসাগর থেকে উৎপত্তি হওয়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাসের সঙ্গে পুবালি বায়ুর সংস্পর্শে বৃষ্টি ঝড়ছে। এর কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাধারণত তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে সেটিকে শীতের আবহাওয়া বলে। যেহেতু তাপমাত্রা ২০ এর নিচে তাই এটিকে শীতের আবহাওয়া বলছে। তবে এবারে বৃষ্টিপাতে শিলাবৃষ্টির প্রবণতা কম।

দিনাজপুর রাজবাড়ী কাটাপাড়া এলাকার লতিফুর রহমান বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। সকালে উঠে বাজার থেকে সবজি পাইকারি দরে ক্রয় করে নিজস্ব দোকানে খুচরা হিসেবে বিক্রি করি।কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সকালে সবজি ক্রয় করতে যাওয়ার সময় প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। অথচ এই সময়টাতে এমন শীতের প্রকোপ কখনও থাকে না। বালুবাড়ী এলাকার অটোরিকশাচালক রহমত উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন তো প্রচণ্ড গরম ছিল। আবার শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। মনে হচ্ছে, শীত যাচ্ছেই না।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতে তো কয়েকদিন ফ্যান চালু করে ঘুমাতে হয়েছে। আর কয়েকদিন ধরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। অল্পতেই সর্দি, কাশি লেগে যাচ্ছে।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, এই সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য। শীত চলে যাওয়ার এই সময়টাতে ঠান্ডা-গরম আবহাওয়ায় নানা ধরনের শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে; যাতে করে কোনোক্রমেই ঠান্ডা না লাগে।

আরও পড়ুন

×