যৌনপল্লী থেকে দুই তরুণী উদ্ধার, একজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার পারুল বেগম ওরফে পারু। ছবি-সংগৃহীত
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৭:৫৫ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২০:১৮
চাকরির লোভ দেখিয়ে ফরিদপুরের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয় দুই তরুণীকে। তাদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাচার চক্রের দুই নারী ও দুই যুবককে আসামি করে মামলা হয়। পরে পুলিশ পাচার চক্রের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ওসি। গ্রেপ্তার পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) স্থানীয় আসাদ শেখের স্ত্রী ও রথখোলা যৌনপল্লীর বাসিন্দা। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক।
পুলিশ জানায়, পার্লারে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন (৩০) নামে এক যুবক। এরপর দুইদিন ঢাকায় রেখে ১২ মার্চ তাকে তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। তারা ওইদিন সন্ধ্যায় তরুণীকে ফরিদপুরে এনে রথখোলার পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন।
পরদিন একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে পারু তাকে জানান, এখন থেকে তিনি রথখোলা যৌনপল্লীর লাইসেন্সধারী সদস্য। এরপর তাকে জোর করে খরিদ্দারদের কাছে পাঠান। তবে মেয়েটি এক খরিদ্দারকে তার ছোটবোনের মোবাইল নম্বর দিলে খরিদ্দার তার ছোটবোনকে ফোন করে মেয়েটিকে যৌনপল্লীতে আটকে রাখার বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে মেয়েটির মা তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ২২ মার্চ রথখোলা যৌনপল্লীতে এসে তার মেয়েকে দেখতে পান। এরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় চাকরির কথা বলে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেকটি মেয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে পুলিশ তাকেও উদ্ধার করে।
ফেনীর মেয়েটি জানান, তাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে জহির (৩০) নামে এক যুবক ফেনী থেকে এনে ঢাকার মিরপুর এলাকার এক বাসায় এক রাত রাখেন। পরে তাকে রথখোলা যৌনপল্লীতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করে দেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় চাঁদপুরের মেয়েটির মা কোতোয়ালি থানায় পারু, আপন, জহির ও ববিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফাহিম ফয়সাল তরফদার রোববার পারুকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় এফআইআর করা হয়েছে। দুই আসামি আপন ও জহিরের অবস্থান শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
- বিষয় :
- গ্রেপ্তার
- পুলিশ
- যৌন ব্যবসা
- যৌনপল্লী
- নারী