ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ
দগ্ধ মা-বাবার পর মারা গেলেন ছেলেও

হাসপাতালে মারা গেছেন সুফিয়া বেগম, নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া ও ছেলে আল হাদী সোহাগ। সঙ্গে মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী। ফাইল ছবি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯:৫৬
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে থাকা সুফিয়া বেগম (৫০) রাত ৮টায় মারা যান। রাত ৩টায় মারা যান স্বামী নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৬২)। আর সোমবার দুপুর ১টায় মারা যান ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৯)। তবে বেঁচে আছেন শরীরের ১৬ ভাগ পুড়ে যাওয়া মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী।
সোমবার বিকেলে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুফিয়া বেগমের ভাই আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বোন, বোন জামাই, ভাগনি ও ভাগনে দগ্ধ হওয়ার পর ৫ দিন ধরেই হাসপাতালে আছি। চোখের সামনে একে একে মারা গেছেন বোন, বোন জামাই ও ভাগন। আল্লাহর কাছে এখন একটাই চাওয়া দগ্ধ ভাগনি সাথীকে যেন সুস্থ করে দেন।’ তিনি আরও জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টায় তার বোন সুফিয়া বেগমের মরদেহ দাফন করা হয় ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বাঘাইর গ্রামের কবরস্থানে। তবে নিহত নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া ও ছেলে আল হাদী সোহাগের মরদেহ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায়ও গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়নি।
আজ রাত সাড়ে ৯টায় নিহতদের জানাজা হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা মহল্লায় ইতালি প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেহরির জন্য রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লিকেজে জমে থাকা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হন তারা। সোহাগের শরীর পুড়ে গেছে ৩৮ ভাগ। আর সাথীর পুড়েছে ১৬ ভাগ।
শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আগুনে নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়ার শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ ও আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে যায়।