ফরিদপুরে সোনালী ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
ছবি: সমকাল
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | ০৬:১৮ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৩৩
জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় ফরিদপুর সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার।
অভিযুক্তরা হলেন- ফরিদপুরের সোনালী ব্যাংকের মধুখালী শাখার মাঠকর্মী মীর আব্দুর রউফ, এবিএম একরামুল হক, মো. হাফিজুর রহমান, মো. সাহিদুর ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, উল্লেখিত কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজসে নিজেদের উপরে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে। প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেন তারা। ব্যাংকের স্বার্থ না দেখে একই নামে একাধিক ব্যক্তিকে এবং ভূয়া পর্চা বা জাল পর্চা তৈরি ও দাখিলের মাধ্যমে অকৃষক বা ভূমিহীনদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করেন তারা। এর মাধ্যমে সর্বমোট ১ হাজার ১১টি লোন কেসের মাধ্যমে নিয়মবর্হিভূতভাবে ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করেন তারা।
ঋণ বিতরণ পরবর্তী ৬ হতে ৮ বছর পর্যন্ত অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে উক্ত ঋণ কেসগুলোর বিপরীতে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬০ টাকা আদায় করেন। সুদসহ ৫ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাকার ৩৪৯ টাকা বকেয়া রেখে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধ করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দাখিল করেন। তদন্ত শেষে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
