কেএনএফ কমান্ডে কারা

ফাইল ছবি
আহমেদ কুতুব, বান্দরবান থেকে ফিরে
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩:৩০ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | ০৮:৫৪
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিশেষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত অন্তত একশ কমান্ডো। মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা বাংলাদেশে এসেছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে এ কথা।
সূত্রটি জানায়, কেএনএফের ওই বিশেষ কমান্ডো দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফেরোসিয়াস ওয়াইল্ড-বোর’ (এফডব্লিউবি)। মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে কাচিন বিদ্রোহীদের কাছে কমান্ডো ট্রেনিং নিয়ে গত মার্চের মাঝামাঝি তারা বান্দরবানে ফিরে আসে। তারপর ব্যাংক ডাকাতি, থানা ও বাজারে আক্রমণ এবং উপজেলা সদরে ত্রাস সৃষ্টি করে।
কেএনএফের তথ্য ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের কর্নেল সলোমন গত শুক্রবার সমকালের কাছে তাদের কমান্ডো দল মিয়ানমারে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরার কথা স্বীকার করেন। তবে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি। কেএনএফের এই কমান্ডোরা দ্রুত কোথাও হামলা চালাতে সক্ষম বলে জানিয়েছে সংগঠনটির একটি সূত্র।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ‘ফেরোসিয়াস ওয়াইল্ড-বোর’ সদস্যদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। কেএনএফের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে এই কমান্ডো টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগের বাড়ি রুমায়। তবে অল্প কয়েকজন রয়েছে থানচির। গত ডিসেম্বরে তারা কাচিন প্রদেশে যায়। সেখানে কমান্ডো প্রশিক্ষণ শেষে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ফেরে। তাদের অনেকের হাতেই রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র।
স্থানীয়রা বলছেন, কমান্ডো দলের নেতৃত্বেই রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। রুমা ও থানচি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫০ বছরে তারা এমন ভয়ংকর ঘটনা দেখেননি। কেএনএফ পাহাড়ে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে।
এদিকে গতকাল শনিবার কেএনএফ চুক্তি ভঙ্গ করে সংঘাতে জড়ানোর ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। কেএনএফ সেখানে ১০টি বিষয় তুলে ধরেছে। তার মধ্যে রয়েছে, কেএনএফ সদস্য নয় এমন নিরীহ গ্রামবাসীকে কারাগার থেকে এক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চার-পাঁচ মাস পরও তা হয়নি।