মামাদের হামলায় সমকাল পত্রিকা এজেন্ট ও তার বৃদ্ধা মা আহত

নানা বাড়িতে পাওয়া জমি থেকে উচ্ছেদ করতে সমকাল পত্রিকার সাব এজেন্ট ও তার বৃদ্ধা মাকে মামারা বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দাখিল হয়েছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সদরের জানিপুর গ্রামের পত্রিকার সাব এজেন্ট সুলতান হোসেন ও তার বৃদ্ধা মা পান্না খাতুনের ওপর সোমবার দুপুর ও বিকেলে দুই দফায় হামলা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় হামলার পর স্থানীয়রা আহত মা ও ছেলেকে উদ্ধর করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করে। হামলার পর হামলাকারীরা আত্মগোপন করে। রাতে আহত পত্রিকা এজেন্ট সূলতান হোসেন বাদী হয়ে খোকসা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের আটক করা যায়নি।

চিকিৎসাধীন রক্তাক্ত আহত পান্না খাতুন জানান, তার বাবা আবুল কাশেসমের মৃত্যুর পর মুসলিম ফারাজ মোতাবেগ উপজেলা সদরের বিভিন্ন দাগে প্রায় ২৬ শতাংশ জমির মালিক হন। এ জমির মধ্যে নিজের বাড়ি পাশের ৫ শতক জমি দখলে রেখে সবজি আবাদ করছেন। সম্প্রতি ভাই মনজুর রহমান ও আবুল কালাম ওই জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পান্না খাতুন বাধা দেন। এ নিয়ে কয়েক দফায় তার ভাই ভাতিজা বৃদ্ধার ওপর হামলা চালায়। 

তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে বাগান থেকে সবজি তুলতে গেলে ভাই ও তার লোকেরা বাধা দেন। সে সময় প্রথম দফায় তাকে মারধর করা হয়। বিকেলে তার জমি দখলের চেষ্টা করলে ছেলে সুলতান বাাধা দেয়। এ সময় কালামের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে ছেলেকে রক্ষায় তিনি এগিয়ে গেলে তাকেও রক্তাক্ত আহত করা হয়। তিনি হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেন।

মামলার বাদী ও সমকালের সাব এজেন্ট সুলতান হোসেন জানান, তার বৃদ্ধ মায়ের ওপর তারই মামা আবুল কালামের নেতৃত্বে দুই দফা হামলা চালানো হয়েছে। তার মা রক্তাক্ত আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন।

নিজের বোনের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, বাবার থেকে পাওয়া জমির বিরোধ না মিটিয়ে বোনরা ভাইদের বাড়ির জমিও বিক্রি করে চলেছে। এ নিয়ে কথা হচ্ছিল। এক পর্যাযে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।  

মামলার তদন্তকারী এসআই আনিস এর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।