লাপাত্তা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভাঙা হলো গুদামের তালা

ছবি-সংগৃহীত
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪ | ২২:১১ | আপডেট: ০২ মে ২০২৪ | ২২:১১
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এক মাস আট দিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় জিডি করে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গুদামের তালা ভাঙা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুটি গুদামের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন কমিটির সদস্যরা।
এ সময় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম (৫৪) গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ঘোড়াঘাট সরকারি এলএসডি গুদামের দায়িত্ব পালন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, ঘোড়াঘাটের পালশা ইউনিয়নে ডুগডুগিহাট এলএসডি গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগম গুদামের সরকারি চাল আত্মসাৎ করে গত ২৫ মার্চ থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। ছুটি না নিলেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত তিনি। বাড়িতে নোটিশ পাঠালেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুছ আলী। জিডিতে বলা হয়, গত ২৫ মার্চ থেকে সরকারি পণ্য নিয়ে তিনি অনুপস্থিত আছেন। তাঁর স্থানীয় ঠিকানায় বারবার নোটিশ পাঠালেও তিনি উপস্থিত হননি।
ঘটনা তদন্তে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার ডুগডুগিহাট গুদামে আসেন। এদিনও অনুপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা বেগম। তদন্তের স্বার্থে চালের মজুতের প্রকৃত হিসাব এবং আত্মসাতের পরিমাণ বের করতে তালা ভেঙে প্রবেশ করেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গুদামের একটি কক্ষের চালের হিসাব বের করতে পেরেছে তদন্তকারী দল। আরেকটি কক্ষের হিসাবও বের করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ও সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগের পর মজুত থাকা চাল এবং রেজিস্টার মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুপস্থিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।