আড্ডা দিচ্ছিলেন বন্ধুরা, হঠাৎ হামলায় প্রাণ গেল যুবকের

ময়মনসিংহ নগরীতে ছুরিকাঘাতে মো. হাসান (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকার হাজী কাশেম আলী কালেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আরও দু'জন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পাটগুদাম বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা প্রয়াত মাসুদ মিয়ার ছেলে মো. হাসান। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে। নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় তালা-চাবির কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিহারী ক্যাম্পের সামনে হাজী কাশেম আলী কলেজের পাশে আড্ডা দিচ্ছিলেন হাসান ও তার বন্ধুরা। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তাদের ওপর। এতে হাসান, তার বন্ধু রহিত আহমেদ ও মো. রাজাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রহিত ও রাজাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।

আহত রাজা জানান, তাদের আরেক বন্ধু আলী হোসেনের সঙ্গে জয়বাংলা চত্বরের পাশের বস্তির একজনের সঙ্গে ঝগড়া হয়। সেটি দিনের বেলায় মিটমাটও করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ঘটনার জেরে তারা যেখানে বসে আড্ডা দেয় সেখানে ৩০-৪০ জন মিলে অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

আহত রহিত আহমেদ বলেন, হান্নান ও রাকিবের নেতৃত্বে হামলা হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের লাশ ঘরের সামনে গিয়ে দেখা যা,য় আহাজরি করছেন হাসানের মা জরিনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা। সন্তানের নির্মম মৃত্যুতে লাশ ঘরের সামনে আহাজারি করে মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা। নিহতের বোন লিপি আক্তার বলেন, হাসানের এক বন্ধুর সঙ্গে দিনের বেলায় ঝগড়া হয়েছিল। এর জেরেই তার ভাইকেও উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।

নিহতের বাড় ভাই মো. মুরাদ বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে খেলা নিয়ে বিরোধে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামি গ্রেপ্তারের পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।