ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু, শাশুড়িসহ ৩ জন কারাগারে

ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু, শাশুড়িসহ ৩ জন কারাগারে

প্রতীকী ছবি

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪ | ১৪:০১ | আপডেট: ০১ জুন ২০২৪ | ১৪:২২

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মো. ফরিদ মিয়া (২৭) নামের এক ইটভাটার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মে) উপজেলার বামনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই এলাকার নিহতের শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন, শ্যালিকা উম্মে কুলসুম ও কুলসুমের স্বামী সায়েদ আলীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, ইটভাটার শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার নিহতের মা ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে নিহতের শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন (৪৫), মো. সেলিম মিয়া (৪৫), উম্মে কুলসুম (১৯), ছায়েদ আলীসহ (২২) চারজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় গতকাল আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ মিয়া পাশের এলাকার প্রয়াত সিদ্দিকের মেয়ে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু জীবিকার জন্য কুমিল্লায় একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজ করা সময়ে শাশুড়ি আনোয়ারাকে একটি সোলার প্যানেল লাগিয়ে দেন। পরে বাড়ি এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী পাঁচ মাস বয়সী ছেলে সন্তান নিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে ঢাকায় গেছেন। যে কারণে গতকাল সকালে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নিজের দেওয়া সোলার প্যানেল নিয়ে আসতে চাইলে তারা বাধা দেয়। এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনা ফরিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোলার নিয়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইটভাটার এক শ্রমিককে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আটক তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে  আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি।

আরও পড়ুন

×