ছাত্রদের হলে চুয়েট শিক্ষকের মদপানের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

শিক্ষক শাফকাত আর রুম্মান। ছবি: সংগৃহীত
চুয়েট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৪ | ০৬:২৯
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) শহীদ তারেক হুদা হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের শাফকাত আর রুম্মান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদপানের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রুম্মানের স্ত্রী ও চুয়েটের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক কাজী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
৩১ মে শুক্রবার রাত ৪টার দিকে শহীদ তারেক হুদা হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার চুয়েটের ৪৯তম ব্যাচের (শিক্ষাবর্ষ ২০১৮-১৯) শিক্ষা সমাপনী উৎসব উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় বাস্কেটবল মাঠে কনসার্ট আয়োজন করা হয়। কনসার্ট চলাকালে রাতে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রভাষক শাফকাত আর রুম্মান শহীদ তারেক হুদা হলে রাত ৪টা নাগাত মদপান করতে যান। এর কিছু সময় পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মদপানরত অবস্থায় রুম্মানকে দেখতে পান। এসময় তিনি উপস্থিত সকলকে বকাঝকা করেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি নিচে নেমে তারেক হুদা হল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের মধ্যবর্তী স্থানে কান্নাকাটি করতে থাকেন। এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে শান্ত করে রুম্মান উদয়কে ধরাধরি করে শিক্ষক ডরমিটরিতে পৌঁছিয়ে দেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুনীল ধরকে সভাপতি ও তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শহীদ তারেক হুদা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়। অফিস আদেশে আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে সুপারিশ করার জন্য বলা হয়।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে ড. সুনীল ধর বলেন, তদন্ত কতদিনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে এ বিষয় সম্পর্কে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। সকলের সাথে আলোচনা করে দেখতে হবে।
এ বিষয়ে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও চাকরি বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।