ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

স্রোতে ভেঙে পড়ল সাঁকো, দুর্ভোগে ৩৫ গ্রামের মানুষ

স্রোতে ভেঙে পড়ল সাঁকো, দুর্ভোগে ৩৫ গ্রামের মানুষ

ছবি- সমকাল

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪ | ১৬:৩২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা শহরের কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে লৌহজং নদীর ওপর থাকা বাঁশের সাঁকোটি প্রবল স্রোত ও কচুরিপানার চাপে ভেঙে গিয়েছে। এতে মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষ তিন দিন ধরে দুর্ভোগে রয়েছে। নদীর দক্ষিণ পাড়ের মানুষের প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালে সেবা নিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যায়। এতে নদী খনন কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে দেওয়া বাঁধ ভেঙে যায়। এতে লৌহজং নদীর পানি বেড়ে যায়। লৌহজং নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উজান থেকে কচুরিপানা আসতে থাকে, যা ভাটির দিকে যেতে নদীর ওই স্থানে থাকা বাঁশের সাঁকোতে বাধাগ্রস্ত হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কচুরিপানার সঙ্গে স্রোতের অতিরিক্ত চাপে সাঁকোটি ভেঙে পানিতে ভেসে যায়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, এই সাঁকো দিয়ে মির্জাপুর পৌর এলাকার সাহাপাড়া, সরিষাদাইড়, আন্ধরা, পাহাড়পুর ছাড়াও মির্জাপুরের দক্ষিণাঞ্চলের ভাওড়া, বহুরিয়া, উয়ার্শী ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ গ্রামের মানুষ হেঁটে নদী পার হয়ে রিকশা, অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ নানা ধরনের যানবাহনে গন্তব্যে যান। সাঁকোটি দিয়ে নিয়মিত মোটরসাইকেলও চলাচল করে। কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং স্কুল ও কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনেকেই নদীর দক্ষিণ পাড়ে থাকেন। তাঁরাও এই সাঁকো ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সাঁকোটি দিয়ে অনেকে মোটরসাইকেলে করে ঢাকার ধামরাই, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। সাঁকোটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় তিন দিন ধরে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পারাপারের জন্য কোনো নৌকারও ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

এদিকে নদীর ওই ঘাট জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। অজ্ঞাত কারণে সেখানে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫৩ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি। প্রতিবছর এই মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ভেঙে মানুষের ভোগান্তি হয়।

পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর আমাদের এ রকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই সময়ে এসেও সারাবছর বাঁশের সাঁকো পার হতে হয়!’

খেয়াঘাটের পাটনি সুভাষ দাস জানান, নদীতে জোয়ারের সময় প্রতিবছর এই মৌসুমে বাঁশের সাঁকো ভেঙে অনেক ক্ষতি হয়। খেয়া নৌকা প্রস্তুত করতেও সময়ের ব্যাপার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়া নৌকাটি চালু করার চেষ্টা চলছে।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন

×