সংবাদ সম্মেললে অভিযোগ
কালো টাকা ছড়িয়ে ভোটের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থীরা। ছবি: সমকাল
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪ | ১৮:০৮
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ছড়িয়ে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। তারা ফল প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচনের দাবি জানান। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের আহসানগঞ্জ স্কুল মার্কেটে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী প্রামানিকের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান পলাশ (জোড়া ফুল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাবর (আনারস), উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম (কাপ-পিরিচ) এবং সনৎ কুমার প্রামানিক (ঘোড়া)। প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী প্রামানিক প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে আক্কাছ আলী প্রামানিক বলেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করতে কালো টাকা ছড়িয়েছেন। নির্বাচন চলাকালে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ, মাদ্রাসা, গোরস্তানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে ইট ও লাখ লাখ টাকা দিয়ে ধর্মভীরু ভোটারদের প্রভাবিত করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তাঁর টাকায় একটি ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাট করার সময় নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানতে পেরে কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁর অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেন, এবাদুর রহমান চার মেয়াদে চেয়ারম্যান হয়েছেন। গত ১৫ বছরে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তাঁর কালো টাকার জোরে উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী থাকলেও জয়লাভ করতে পারেন না। এ কারণে তারা নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ফের নির্বাচনের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ আদালত ও নির্বাচন কমিশনেও লিখিত অভিযোগ করবেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর পক্ষে ভাতিজা মনিরুজ্জামান রনি বলেন, এবাদুর রহমান জনপ্রিয় বলেই চারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে পরাজিত প্রার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন।
গত ২৯ মে আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে এবাদুর রহমান প্রামানিক (কৈ মাছ) ২১ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
- বিষয় :
- নওগাঁ
- উপজেলা নির্বাচন
- সংবাদ সম্মেলন
- ভোট বর্জন