ফরিদপুরে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর অফিস
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪ | ২২:২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি কাজে বাধা এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বোয়ালমারী পৌর সদরের নাট মন্দির এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় ডিবি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা তমাল (৩২) ও সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম রনি (২৮)। তারা বোয়ালমারী উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতি রোববার বোয়ালমারীতে হাট বসে। ভাঙা-চোরা সড়ক ও হাটের কারণে নাট মন্দির সংলগ্ন স্টেশন সড়কে তীব্র যানজট ছিল। যানজটের মধ্যে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি গাড়ি আটকে ছিল। ওই গাড়ির পেছনে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি মোটরসাইকেলে ছিলেন। এসময় পেছন থেকে মোটরসাইকেলের হর্ন বারবার দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতারা। এ অবস্থায় ডিবি পুলিশের গাড়ি থেকে এক কনস্টেবল নেমে তাদের বলেন, দেখছেন যানজটের কারণে গাড়ি সামনে যেতে পারছে না, তারপরও আপনারা বারবার হর্ন দিচ্ছেন কেন? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতারা ওই কনস্টেবলকে গালাগালি করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের সদস্য ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতারাও পুলিশ সদস্যকেও মারধর করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, ডিবির ওই গাড়িতে কোনো স্টিকার ছিল না। এমনকি তাদের পরনে ডিবির কোনো পোশাকও ছিল না। তাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আশা করছি বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা হয়ে যাবে।’
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
- বিষয় :
- ফরিদপুর
- ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- পুলিশ
- মামলা