ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সিলগালা

গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সিলগালা

ইউএনও মাহমুদ আল হাসান প্রেসক্লাবটি সাময়িকভাবে সিলগালা করেন। ছবি: সমকাল

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪ | ১০:১১

সাংবাদিকদের একাংশের অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে তালা ঝুলিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার  দুপুরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের পক্ষে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান সাময়িকভাবে প্রেসক্লাব সিলগালা করে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার আশরাফুল হক ও সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত ) সিরাজুল হক প্রমুখ।

গত ২৮ মে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কে এম রেজাউল হক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ নিরাপত্তা দাবি করে আইনি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, জেলা প্রশাসনের পরিত্যক্ত জায়গায় বর্তমান ভবনে ২০০১ সাল থেকে তৎকালীন প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পূর্ব মনোনীত নির্বাচন কমিশনারদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সাধারণ সভা নির্ধারিত ছিল ২৫ মে। নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরে সভা শুরুর আগে অনার ও সাধারণ সদস্যদের তালিকার বোর্ড সুকৌশলে সরিয়ে ফেলে একটি চক্র। প্রেসক্লাবের মুষ্টিমেয় সদস্যের ইন্ধনে সাংবাদিক নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী জোর করে সভা কক্ষে ঢুকে বৈধ সদস্যদের ওপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সভাপতি কে এম রেজাউল হকসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক লাঞ্ছনার শিকার হন। এ পরিস্থিতিতে সভাপতি সভা মুলতবি করে সহযোগীদের নিয়ে প্রাণ ভয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এরপর সন্ত্রাসীরা বিকেলে প্রেসক্লাব দখলে নেয়। সন্ধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে বসে কমিটি করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ আল হাসান জানান, জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেবেন।

আরও পড়ুন

×