বন্দরের উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ কারাগারে

মাকসুদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৪ | ০২:৪২
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২) আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক উম্মে সারাবান তহুরা এ আদেশ দেন। উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে মাকসুদ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
গত ৮ মের নির্বাচনে জেলার দুই সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের বিরোধিতা উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন। নির্বাচনের পরও নিজ দলের এমপি সেলিম ওসমান তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম গত ২৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মাকসুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এতে সুলতানা অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেন তাঁকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের সময় প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলেন মাকসুদ। সুলতানা বেগম বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে বাড়িতে তোলার জন্য চাপ দেন। কিন্তু মাকসুদ তাঁর কথা শোনেননি। উল্টো বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রির জন্য স্ত্রীকে তিনি চাপ দেন।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে মাকসুদের আইনজীবীরা এ মামলাকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে আদালত বাদীপক্ষের যুক্তি মেনে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাকসুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আরও ৪টি মামলা রয়েছে। তাঁর ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভর বিরুদ্ধেও ৩টি মামলা রয়েছে।
মাকসুদ হোসেন বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই পদ ছেড়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তাঁর ছেড়ে দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য ছেলে মাহমুদুল হাসান প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
- বিষয় :
- নারায়ণগঞ্জে
- মামলা
- চেয়ারম্যান