ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চাকরির প্রলোভন দিয়ে পোশাককর্মীদের পাচার করতেন তারা, গ্রেপ্তার ২

চাকরির প্রলোভন দিয়ে পোশাককর্মীদের পাচার করতেন তারা, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার দুইজন। ছবি: সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪ | ১৯:১৭

ভারতে নারী পাচার চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে হাটহাজারী থানার বালুচড়া নতুনপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন-বাঁশখালী থানার পুকুরিয়া ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া গ্রামের মো. তারেকের স্ত্রী ঝুমু (৩০) ও তার বান্ধবী পারভীন আক্তার (২৫)। 

এর আগে গত ২৪ জুন ঝুমুর স্বামী তারেককে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া এক তরুণী ফিরে এসে অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঊচ্চ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পোশাক কর্মীদের ভারতে পাচার করতেন তারা।

পুলিশ জানায়, ওই তরুণী ও তার বান্ধবী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত এপ্রিলে তারা চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর থেকে তারা চাকরি খুঁজছিলেন। চাকরির সন্ধানে পূর্ব পরিচিত পারভীন আক্তারকে ফোন দেন। পারভীন তাকে বেশি বেতনে পার্লারের চাকরির প্রলোভন দেখান। তাদেরকে ঝুমুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ঝুমু তাদেরকে ভারতের রাঁচিতে প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দিবেন বলে জানান। তারা রাজি হলে গত ২৯ মে রাতে তারেক, ঝুমু ও পারভীন মিলে দুই তরুণীকে যশোর নিয়ে যান। সেখানে আনিসুর নামে আরেকজনের সঙ্গে দেখা হয়। তারা দুই তরুণীকে অবৈধ পথে ভারতের কলকাতা নিয়ে যান। সেখান থেকে আলাদাভাবে দুইজনকে রাঁচির একটি হোটেলে তাদের নেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, তাদেরকে যৌনকর্মী হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে ঝুমুর কাছে জানতে চাইলে তাকে মারধর করেন তিনি। পরে দুই তরুণীকে আলাদা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে তার বান্ধবীকে রাখা হোটেলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার বান্ধবী পালিয়েছে। তখন এক নারী তাকে কলকাতার ট্রেনে তুলে দেন। হাওড়া স্টেশনে নেমে বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় গত ৬ জুন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বাংলাদেশে ফিরে এসে বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানাকে জানালে পুলিশ তারেককে গ্রেপ্তার করে। এরপর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণী।

র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী তরুণী বাড়ি হয়ে গত ২৪ জুন মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে চারজনের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। 

নজরদারির এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, হাটহাজারী থানার বালুচড়া নতুনপাড়া সিএনজি স্টেশন এলাকায় অবস্থান করছেন পলাতক দুই আসামি। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×