মিতু হত্যা মামলা
‘সিম পাওয়া ব্যক্তি ও মোটরসাইকেল মালিক কেন আসামি নন’

মাহমুদা খানম মিতু। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪ | ২২:০৬
চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে জেরা চলছে। জেরায় আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মিতু খুন হওয়ার কয়েক মাস পর তাঁর মোবাইল ফোনের সিমটি মান্নান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করেন আপনি (তদন্ত কর্মকর্তা)। খুনে মান্নান জড়িত থাকলেও আসামি না করে তাঁকে কেন ছেড়ে দিয়েছেন।’ অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুজ্জামান তখন বলেন, ‘মান্নান রিকশাচালক। তিনি রাস্তায় মোবাইল ও সিম কুড়িয়ে পান। তাই তাঁকে আসামি করা হয়নি।’
এভাবেই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জেরা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার বাকি জেরা হবে।
জেরায় বাবুলের আইনজীবী বলেন, ‘মিতু খুনে ব্যবহার করা মোটরসাইকেল দেলোয়ারের নামে নিবন্ধন করা থাকলেও তাঁকে আসামি না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ এই অভিযোগও সত্য নয় বলে দাবি করেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত মহানগর পিপি দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘আসামি বাবুল আক্তারের আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানকে আংশিক জেরা করেছেন। বুধবার বাকি জেরা অনুষ্ঠিত হবে।’
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। স্ত্রীকে খুনের এই ঘটনায় পুলিশ সদরদপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ৫২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
- বিষয় :
- মিতু হত্যা
- চট্টগ্রাম
- মামলা