ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

ঘুমন্ত সহকর্মীর ছবি তোলায় মারধর

দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে  বিভাগীয় মামলা 

দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে  বিভাগীয় মামলা 

ফাইল ছবি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২০:৪২ | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২২:২৭

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঘুমন্ত সহকর্মীর ছবি তোলায় সুশীল কুমার মাহাতো নামে এক শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশীদ শিক্ষক দেবেন্দ্র কুমার মাহাতো ও বিশ্বনাথ কুমার মাহাতোর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। একই দিন বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসেন খানকে অবহিত করা হয়। 

এর আগে গত ২৭ জুন ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ আলী ও মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার তদন্ত করেন। তারা শিক্ষক সুশীল কুমার মাহাতোকে মারধরের সত্যতা পেয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুনর রশীদের কাছে পাঠিয়ে দেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেন। 

বিষমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষক দেবেন্দ্র কুমার মাহাতো ও বিশ্বনাথ কুমার মাহাতো সহোদর। তারা প্রায়ই ক্লাস চলাকালে শ্রেণি কক্ষে, অফিস কক্ষে ও পার্শ্ববর্তী মন্দিরে গিয়ে বেঘোরে ঘুমান, যা এলাকার সবারই জানা। আগেও তাদের নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বারবার তারা অনৈতিক সুবিধা দিয়ে দায়মুক্তি নিয়েছেন। 

প্রধান শিক্ষক নৃপেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ঘটনার সময় তিনি ক্লাস নিচ্ছিলেন। পরে অফিস রুমে এসে দেখতে পান সুশীল কুমার মাহাতো মেঝেতে পড়ে আছেন। আর তাঁকে কিলঘুসি মারছেন দেবেন্দ্র কুমার মাহাতো ও তাঁর ভাই বিশ্বনাথ কুমার মাহাতো। পরে তিনি ও সহকারী শিক্ষক প্রবীণ কুমার মাহাতো দেবেন্দ্র ও বিশ্বনাথকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, শিক্ষক দেবেন্দ্র কুমার বিদ্যালয়ের পাশে খড়ের গাদার মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় মোবাইল ফোনে তাঁর ঘুমন্ত অবস্থার ছবি তোলেন অপর শিক্ষক সুশীল কুমার। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সুশীল কুমারকে মারধর করেন দেবেন্দ্র কুমার ও বিশ্বনাথ কুমার। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন। 

এ বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক দেবেন্দ্র কুমার মাহাতো ও বিশ্বনাথ কুমার মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন

×