ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’র ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’র ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন

ছবি-সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৫২ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ | ১৬:৫২

রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রে আয়োজিত হলো ‘সুলতানার স্বপ্ন’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপন অনুষ্ঠান। শনিবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সহায়তায় এবং রংপুরের মনি শংকর স্মৃতি পাঠাগারের ব্যবস্থাপনায়  অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

গত ৮ মে মানবের ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকারের স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কোর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সভায় ‘বিশ্বস্মৃতি’ বা ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর আঞ্চলিক রেজিষ্টারে বাংলাদেশ থেকে স্থান করে নেয় নারী জাগরনের অগ্রদূত, সমাজ সংষ্কারক ও লেখক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শত বছরের আগে লেখা ধ্রুপদী নারীবাদী কল্পকাহিনী ‘সুলতানার স্বপ্ন’।

অনুষ্ঠানে সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী  আসাদুজ্জামান নূর এমপি,  জাকির হোসেন সরকার এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক; জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রাবন্ধিক মিনার মনসুর; ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেক্টরের কর্মকর্তা নূরে জান্নাত প্রমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুলতানের স্বপ্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব রব্বান জুয়েল।

অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণের পরে অনেকে নারী পারিবারিক ও সামাজিক চাপে যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও কর্মক্ষেত্রে ও অর্থনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এটা একটা দেশের মানবসম্পদের অনেক অপচয়। বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ যা আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, তা বাস্তবায়নে নারীদের ঘরের বাইরের কাজে আরো যুক্ত হতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সাথে গান-কবিতা-বই পড়া-সাহিত্য চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে জ্ঞান আহরনের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমিটির সেক্রেটারি লিং এ্যাং–এর লিখিত শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে যে এটি দ্বিতীয় অন্তর্ভূক্তি তা উল্লেখ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বিশ্বস্মৃতির ভান্ডারে এই সংযুক্তি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। পুরো বিশ্ব এখন বাংলাদেশ ও ‘সুলতানার স্বপ্ন’ সম্পর্কে জানবে।

অনুষ্ঠানে ৩ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সেরা ১১ জন  শিক্ষার্থীদের বই, পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সনদপত্র প্রদান করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন

×