ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মধুখালীতে দুই নির্মাণ শ্রমিককে হত্যা

ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে পদ থেকে অপসারণ

ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে পদ থেকে অপসারণ

শাহ আসাদুজ্জামান তপন (বামে) ও অজিত কুমার বিশ্বাস

ফরিদপুর অফিস

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৬:০৯ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ | ১৬:১৩

মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি শাখা-১ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। একই প্রজ্ঞাপনে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ওই আসন দুটি আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য(মেম্বার) অজিত কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল দুজন নির্মাণশ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা এসেছে বিধি অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী সর্বজনীন কালীমন্দিরের প্রতীমার শাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মন্দির-সংলগ্ন পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মাণকাজের শ্রমিকদের জড়িত থাকার সন্দেহ করেন। পরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে চার নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করা হয়। রাতেই দুই সহোদর শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

শ্রমিকদের আটকে রেখে মারধরের তিনটি ভিডিও পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে শ্রমিকদের মারধরে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে অংশ নিতে দেখা যায়। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য আত্মগোপন করেন। তাদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনায় হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা ও মন্দিরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আটজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা মামলায় চারজন ও হত্যা মামলায় সাতজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ধরতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন

×