ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

কোটা আন্দোলন

সড়ক অবরোধ থেকে সরে গণসংযোগে চবি শিক্ষার্থীরা 

সড়ক অবরোধ থেকে সরে গণসংযোগে চবি শিক্ষার্থীরা 

চবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল। ছবি: সমকাল

চবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪ | ১৯:১০

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে এবার গণসংযোগে নেমেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা করেননি। এ কর্মসূচির পরিবর্তে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে গণসংযোগ করেন। 

জানতে চাইলে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আজ অবরোধ কর্মসূচি থেকে আপাতত সরে এসেছি। নির্দেশনা অনুযায়ী আজ গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। 

আজ সকাল ১১টার দিকে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। সেখানে বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের সামনে যান। পরে ছাত্রীদের আরও চারটি আবাসিক হল- দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, প্রীতিলতা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শামসুন নাহার হলের সামনে যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে কর্মসূচি শেষ করেন তারা। 

কর্মসূচিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু আমি নিজে কখনও এই কোটা ব্যবহার করিনি। অনেককে দেখলাম একটু আগে পাঠাগারে চাকরির জন্য পড়াশোনা করছেন। তাদেরকে আমি আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান করব। কোটা বহাল রেখে পড়েও কোনো লাভ নেই।’

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে (৫৬ শতাংশ) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে টানা সাড়ে পাঁচ বছর কোনো কোটা ছাড়াই নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয়। ২০২১ সালে ওই পরিপত্রের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে কোটা পূর্নবহালের প্রতিবাদে গত ১ জুলাই থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শিক্ষার্থীরা চার দাবি নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা। পরিপত্র অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ছাড়া)। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

আরও পড়ুন

×