ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জ

লঞ্চঘাটের ইজারা নিয়ে বিতর্ক

লঞ্চঘাটের ইজারা নিয়ে বিতর্ক

ছবি: ফাইল

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪ | ০৩:১৩

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ লঞ্চঘাট ইজারা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে টানা তিন দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় আগ্রহী অনেকে ইজারা দরপত্রে অংশ নিতে পারেননি। ঝড়ের কারণে তারা ইজারা কার্যক্রম স্থগিতের আবেদন করেও সাড়া পাননি। 

বঞ্চিতদের অভিযোগ, এই সুযোগে একতরফাভাবে শাহে আলম সিকদার নামের একজনকে ইজারা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

বরিশাল নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ খেয়াঘাট ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য শাহে আলম সিকদারকে ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। 

ইজারা নিতে আগ্রহী আকতার হোসেন জানান, বিআইডব্লিউটিএর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। জমা দেওয়ার নির্ধারিত স্থান ছিল বিআইডব্লিউটিএর ঢাকার কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং বরিশাল নৌবন্দর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

আকতার হোসেন বলেন, ২৬ মে রাতে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। এ কারণে ২৫ থেকে ২৭ মে টানা তিন দিন সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। মেহেন্দীগঞ্জ মেঘনাবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মেহেন্দীগঞ্জ থেকে ঢাকা ও বরিশাল কোথাও যাওয়া যায়নি। ফলে দরপত্র তিনি জমা দিতে পারেননি। একই কারণে গোলাম মাজেদ চৌধুরী নামে আরেকজনও দরপত্র জমা দিতে পারেননি। উল্লিখিত কারণে দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও সুফল মেলেনি। কর্তৃপক্ষ শাহে আলম সিকদারকে ইজারা দিয়েছে। 

এ বিষয়ে বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একই দিন আরও বেশ কিছু ঘাটের দরপত্র গ্রহণের নির্ধারিত সর্বশেষ দিন ছিল। কালীগঞ্জ লঞ্চঘাটের জন্য বরিশালে একটি ৭০ লাখ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় দপ্তরে ৫৪ লাখ টাকার আরেকটি দরপত্র পড়ে। ৭০ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে শাহে আলম সিকদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় আরও অনেকে দরপত্রে অংশ নিতে পারেননি, বিষয়টি নিয়ে বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কার্যক্রম স্থগিত করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় দপ্তরের। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে দুটি দরপত্র পড়েছে। অন্য যারা দিতে পারেননি, সেটি তাদের ব্যর্থতা। তাছাড়া স্থগিত করার ক্ষমতা রাখে একমাত্র বিআইডব্লিউটিএর কেন্দ্রীয় দপ্তর। 

আরও পড়ুন

×