জামায়াত-শিবির হামলা চালাতে এলে জনগণ নিয়ে প্রতিরোধ: লিটন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪ | ২২:২৩
জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের দাবি ছিল। জাতির পিতা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি চক্রের মূল পুরোধা জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোস্তাক গং আবারও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে। গোলাম আজমকে দেশে ফেরত আনে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি করার অনুমতি দেয়, তারাই পথটি সুগম করে দেয়। দীর্ঘদিন পরও জামায়াত-শিবির তাদের অতীতের বীভৎসতা, সহিংসতা, পশ্চাৎমুখিতা থেকে সরে আসেনি। তারা হত্যা, খুন, জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াওয়ের পক্ষে নয়। তাই জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করা হবে।
শোকাবহ আগস্ট স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের শোক র্যালি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সাম্প্রতিককালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে তারা আবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, পরিকল্পিতভাবে আমাদের গর্বের ও অহংকারের স্থাপনাসমূহ ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে। তারা গণভবনসহ স্বাধীনতার বাড়ি-ঘরগুলোকে টার্গেট করেছিল। সেই অপশক্তিকে আমরা এবারও পরাজিত করতে পেরেছি এবং সেই কারণে এবার আর বিলম্ব নয়, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া দরকার। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ এদেশের মাটিতে দেওয়া যায় না। এই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধরেরা এবং স্বাধীনতার চেতনাধারণকারী কোটি কোটি মানুষ আমরা মাথা উঁচু করে বসবাস করবো। অতীতেও যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের নেতাকর্মীরা এক আহ্বানে রাজপথে চলে এসেছে। আমরা এটি বারবার প্রমাণ দিয়েছি। জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদেরকে প্রতিরোধ করবো। কারণ জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াও এর পক্ষে নয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোক র্যালিটি বের করা হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন উপস্থিত ছিলেন।
- বিষয় :
- খায়রুজ্জামান লিটন
- আওয়ামী লীগ
- রাজশাহী