ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কুমারখালীতে দপ্তরে ফিরছেন জনপ্রতিনিধিরা

কুমারখালীতে দপ্তরে ফিরছেন জনপ্রতিনিধিরা

কুমারখালীর যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় গ্রাম পুলিশ সদস্যদের অবস্থান সমকাল

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪ | ২২:৪৯

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়ায় দপ্তরে ফিরতে শুরু করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। ১১টির মধ্যে ১০ ইউনিয়ন পরিষদে ফিরেছেন চেয়ারম্যানরা। তবে এখনও দপ্তরে ফেরেননি পৌরসভার মেয়র ও প্যানেল মেয়ররা। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান অসুস্থ থাকায় পরিষদে যোগ দেননি।
দপ্তরে ফেরা ইউপি চেয়ারম্যানদের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও শঙ্কা ও আতঙ্ক কাটেনি। তবুও জনস্বার্থে কার্যালয়ে ফিরেছেন তারা। তবে এখনও সেবাপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি কম।
গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, অনেকটা সুনসান নীরবতা। পরিষদ ভবনের বারান্দায় রয়েছেন কয়েকজন গ্রাম পুলিশ। নাগরিক সেবা পেতে হাতেগোনা কয়েকজন সেবাপ্রত্যাশী ইউপি ভবনে অপেক্ষা করছেন। চেয়ারম্যান কক্ষে বসে সেবা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান ও সচিব।
পরিষদের সচিব মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন চেয়ারম্যান। তবে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আবার অফিস করছেন চেয়ারম্যান। সেবাপ্রত্যাশীদের উপস্থিতি কম। যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কার্যালয়ে ফিরে জনগণকে সেবা দিচ্ছেন তিনি। তবে এখনও তাঁর শঙ্কা ও আতঙ্ক কাটেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর তাঁর কার্যালয়েও হামলা করেছিল দুর্বৃত্তরা।
কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনের ভাষ্য, জনস্বার্থে সব বাধা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা উপেক্ষা করেই তিনি পরিষদে এসেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে কেবল সদকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এখনও দপ্তরে ফেরেননি। এ বিষয়ে সদকী ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ সমকালকে বলেন, তাঁর মেয়ে অসুস্থ। এ কারণে তিনি উপজেলার বাইরে রয়েছেন। আগামী বুধবার থেকে তিনি নিজ কার্যালয়ে ফিরবেন।
কুমারখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, মেয়র ও প্যানেল মেয়র কেউই পৌরসভায় আসছেন না। আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পৌরসভায় নাগরিক সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র এসএম রফিক সমকালকে বলেন, প্রতিদিনই পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে লোকজন তাদের হুমকি দিচ্ছে। সে জন্য ভয়ে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মিকাইল ইসলাম জানান, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ দপ্তরে ফিরতে শুরু করেছেন। উপজেলার একটি ছাড়া সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ফিরেছেন।

আরও পড়ুন

×