ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা

হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে হত্যা

ফাইল ছবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪ | ১৮:২৭

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হত্যা মামলার আসামি সাহেদ আহমদ ওরফে সাহাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে দেওটি ইউনিয়নের দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকার সড়কে তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ রাত সাড়ে ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। সোমবার দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

সাহেদ দেওটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দেওটি গ্রামের বড় বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৭-৮টি মামলা রয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও মানুষের ওপর হামলা শুরু করে। লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে রোববার রাতে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। পরে তার লাশ পাওয়া যায়। 

জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর মোজাম্মেল বাহিনীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাহেদ। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে একই এলাকার মিলন সরকারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রায় ১০ বছর অন্য এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এলাকায় ফিরে আসেন সাহেদ। এরপর তার নেতৃত্বে স্থানীয় চা দোকানদার হুমায়ুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত উল্যার বাড়িতে হামলা হয়। এ সময় এনায়েত উল্যার নাতি কামরান আহত হন। হুমায়ূনের দুই পা ভেঙে দেয় হামলাকারীরা।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দেওটি গ্রামের ঈদগাহ এলাকায় সাহেদের ওপর হামলা করে। এ সময় তার দুই চোখ গুরুতর জখম হয়। পরে কানের ডানপাশে গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাহেদের কয়েকজন সহযোগী আহত হয়। 

দেওটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দিদার হোসেন বলেন, সাহা ওরফে সাহেদ সন্ত্রাসী। তার সঙ্গে সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ওরফে কিং মোজাম্মেলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কিং মোজাম্মেলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত যুবক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ৭-৮টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন সে পালিয়ে ছিল। ৫ আগস্টের পর এলাকায় ফিরে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও মানুষের ওপর হামলা শুরু করে। লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে রোববার রাতে তাদের বাড়িতে আক্রমণ করে। পরে রাস্তার ওপর সাহার লাশ পাওয়া যায়। এতে তার কয়েকজন অনুসারীও আহত হয়।

ওসি বখতিয়ার উদ্দিন আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ আটকও হয়নি।

আরও পড়ুন

×