ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কসবার খনির গ্যাস এলাকায় সরবরাহের দাবি

কসবার খনির গ্যাস এলাকায় সরবরাহের দাবি

ফাইল ছবি

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ২০:০০ | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৪ | ২০:০৬

কসবার খনির গ্যাস স্থানীয় বাসিন্দাদের বাসাবাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা তারাপুর গ্যাস কূপ সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর আহাম্মদ শাহিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন– পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদলের সদস্য সচিব মো. জিয়াউল হুদা শিপন, গ্যাস কূপ এলাকার জমির মালিক জমসেদ মিয়া, সমন্বয়ক শরিফ আহাম্মদ সরকার, শামিম রেজা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে উপজেলার তারাপুর গ্যাস কূপ খননের পর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখনও পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের পর স্থানীয় চাহিদা মেটানো যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে জনগণকে না জানিয়েই গ্যাস কূপ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বক্তারা আরও বলেন, তারাপুর গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমানার মাত্র ৪০০ গজ পশ্চিমে। ২০১৮ সালে সীমারেখার ৩০০ ফুট পূর্বে কমলাসাগর দীঘির উত্তরাংশে ভারত গ্যাস কূপ খনন করে সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলন করছে। তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, কূপটির গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে ভারত। তবে ৩ হাজার ৮০০ ফুট নিচে আরেকটি গ্যাসের স্তর রয়েছে।

এ বিষয়ে সালদা গ্যাস ফিল্ড ইনচার্জ শাহরিয়ার বারী বলেন, ‘ভারত আড়াআড়িভাবে কূপ খনন করে বাংলাদেশের গ্যাস নিচ্ছে কিনা, তাঁর জানা নেই। তারাপুর গ্যাসক্ষেত্রটি সালদা গ্যাস ফিল্ডের অধীনে। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য আরও কূপ খনন করা যাচ্ছে না। যে দুটো কূপ খনন হয়েছে, এতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।’


 

আরও পড়ুন

×