জয়নবের মরদেহ ফেলে গরু-ছাগল নিয়ে পালাল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন

প্রতীকী ছবি
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৬:০৩ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১৬:০৫
নাটোরের গুরুদাসপুরে জয়নব বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হরদোমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। জয়নব সিংড়া উপজেলার মহিষমারি গ্রামের মো. জয়নাল শেখের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত জয়নবের বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। এতে গৃহবধূর স্বামী সাদ্দাম হোসেন, দেবর, শ্বশুর, শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা গৃহবধূর মরদেহ বাড়িতে রেখে পালিয়ে গেছেন। ফলে তাদের বাড়িতে গিয়েও এ বিষয়ে কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে হরদোমা গ্রামের মো. আজাদের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে জয়নব বেগমের বিয়ে হয়। তবে তাদের কোনও সন্তান নেই। বাড়িতে তার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরসহ বসবাস করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামীর ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জয়নবের।
ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূর মরদেহ বাড়িতে রেখে টাকা ও গরু-ছাগল নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর দীর্ঘ সময় মরদেহ পড়ে ছিল বাড়িতে। বিকেলে প্রতিবেশীরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন জয়নবের মরদেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দেন। তার বাবা জয়নালের অভিযোগ, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ রেখে পরিবারের সবাই পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
- বিষয় :
- নাটোর
- গুরুদাসপুর
- মরদেহ
- হত্যা
- গৃহবধূকে হত্যা