কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ভিডিও ভাইরাল
লাঠি হাতে নারীদের মারধর করা যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ফাইল ছবি
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২২:২৯
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার নারীদের মারধরের তিনটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সব ভিডিওতেই এক যুবককে লাঠি হাতে ওই নারীদের মারতে ও পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার পর শুক্রবার দিনভর অনুসন্ধান করে লাঠি হাতে যুবকটির পরিচয় পাওয়া গেছে।
ফারুকুল ইসলাম নামে ওই যুবকের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকায়। আর ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সি-গাল থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতে একজন নারী একদল লোকের ভিড়ের মধ্যে কান ধরে উঠবোস করছেন। ভিডিওটিতে শুধু একজন ব্যক্তিকে দেখা যায় হাতে কাঠের লাঠি দিয়ে উঠবোস করা নারীকে একাধিকবার আঘাত করছেন।
আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে বিচ চেয়ারে বসা এক নারীকে একদল যুবক হঠাৎ করে ঘিরে ধরে গালাগাল করছে এবং তাঁকে সেখান থেকে উঠে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। এক পর্যায়ে তাঁকে পেটানোর ভয় দেখিয়ে চেয়ার থেকে উঠে যেতে বাধ্য করা হয়। সেখানেও কাঠের লাঠি হাতে ওই যুবককে দেখা যায়।
তৃতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ‘কড়াই’ রেস্তোরাঁর সামনে একটি ঘরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কাছে এক নারী এসে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় তাঁর মোবাইল ফোনটি চাচ্ছেন। তিনি উপস্থিত জনতার কাছে বারবার ক্ষমা চাচ্ছেন এবং বলছেন, তাঁর মোবাইল ফোনটা দিলে তিনি এখনই টিকিট কেটে চলে যাবেন। এই ভিডিওতেও সেই লাঠি হাতে যুবকটিকে দেখা যায় ওই নারীর পাশে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম বলেন, সৈকতে নারীকে পেটানো যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নয়। এমন অপরাধের সঙ্গে আমাদেরও কেউ জড়িত থাকলে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার জন্য সবার কাছে আহবান জানান তিনি।
জানতে চাইলে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, ভিডিওটা দেখার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তৃতীয় লিঙ্গের কয়েজন সদস্যকে ব্যবসায়ী ও কয়েকজন ছাত্র মিলে সৈকত থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন সদস্য কিছুদিন ধরে সৈকত এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি ও পর্যটকদের নানাভাবে বিরক্ত করছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ কাজটি করেছেন। বিষয়টি আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।