ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মিঠাপুকুর

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও চাকরি মেলেনি সাইদুলের

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েও চাকরি মেলেনি সাইদুলের

ফাইল ছবি

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৩৯

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৪ সালে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম হয়েছিলেন সাইদুল ইসলাম। তবে চাকরি পাননি তিনি। এরপর ১০ বছর ধরে আদালতের বারান্দা ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। আদালতের রায়সহ একাধিকবার জেলা ও উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে আবেদন করেও সমাধান পাননি তিনি।

জানা গেছে, ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে ২০২৪ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে কয়েকজন আবেদন করলেও পরীক্ষায় প্রথম হন সাইদুল। এ ছাড়া দ্বিতীয় অতুল চন্দ্র ও তৃতীয় হন সাদিক রহমান। টেবুলেশন শিট ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি রেজুলেশন করে একই বছরের ৭ জুলাই মেধাক্রম অনুমোদন ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল ইউএনওর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

সাইদুলের অভিযোগ, কোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করেই ইউএনওর কার্যালয় থেকে মেধাক্রমে তৃতীয় অবস্থানে থাকা সাদিককে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। নিজের পক্ষে আদালতের রায়ও পেয়েছেন। তবে চাকরি ফিরে পাননি। এ নিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পরীক্ষায় প্রথম হলেও, আমাকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। আমি আদালতের রায় পেয়েছি। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় চাকরি ফিরে পাচ্ছি না। এখন দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছি।’

নিয়োগ পরীক্ষায় সাইদুল ইসলাম প্রথম হয়েছিলেন নিশ্চিত করে ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক নিশিকান্ত রায় বলেন, তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কাগজ ইউএনওর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সাইদুল চাকরি পাননি।

বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক জাহান আরা বেগম বলেন, দপ্তরি কাম প্রহরী পদে দায়িত্ব পালন করছেন সাদিক। তবে তাঁর টেবুলেশন শিট ও রেজুলেশন বিদ্যালয়ে নেই। শুধু ইউএনওর কার্যালয়ের নিয়োগপত্রের কপি রয়েছে। সাদিক রহমানের ভাষ্য, ‘ইউএনও কার্যালয় থেকে আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আমি বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ্‌ বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। জুলাই-আগস্টের প্রেক্ষাপটের কারণে তদন্ত করা হয়নি। এখন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

আরও পড়ুন

×