মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে সড়ক পাকাকরণ

নান্দাইল উপজেলার চামারুল্লাহ গ্রামে সড়কের মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সমকাল
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ০০:১৮
নান্দাইল উপজেলায় মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়ক পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নান্দাইল-আঠারোবাড়ি সড়কের চামারুল্লাহ মসজিদের সামনে থেকে চামারুল্লাহ-লংপুর সড়কটি পাকাকরণের কাজ দরপত্রের মাধ্যমে পায় মেসার্স আনোয়ারা কন্সস্ট্রাকশন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৮০ মিটার সড়কের পাকাকরণ কাজ সম্প্রতি শেষ করে। কিন্তু চামারুল্লাহ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির সামনে সড়কের মাঝখানে আগের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নূর ইসলাম ও হাবিবুল্লাহ জানান, সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকায় পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে এখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এলজিইডির এস্টিমেটে খুঁটি ওঠাতে হবে– এমন কিছু উল্লেখ নেই। তারপরও পল্লী বিদ্যুতের সাবেক ডিজিএমকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে খুঁটিটি সরানোর জন্য বলেছিলাম; কিন্তু খুঁটিটি সরানো হয়নি। এখানে তো ঠিকাদারের কিছু করণীয় নেই।’
এলজিইডির নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদের ভাষ্য, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। আগের করা এস্টিমেটে খুঁটি সরানোর ব্যয় ধরা হয়নি, তাই খুঁটি সরানো হয়নি। তিনি পল্লী বিদ্যুতের বর্তমান ডিজিএমের সঙ্গে কথা বলে খুঁটিটি সরানো যায় কিনা– সেই চেষ্টা করবেন।
নান্দাইল পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘সড়কটি পাকাকরণের আগে যোগাযোগ করলে খুঁটিটি সরিয়ে নিতে পারতাম। এখন তো সরাতে গেলে সড়কের ক্ষতি হবে। আবার ভেঙে অপসারণ করলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ক্ষতি হবে। একেকটি খুঁটির দাম প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।’
- বিষয় :
- বিদ্যুৎবিল