‘কখনও ভাবিনি এমন ধুমধাম করে আমার বিয়ে হবে’

আঁখি আক্তার ও তার বর ওমর ফারুক
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০:৪৯
আলোকসজ্জা, তোরণ, কনে ও বরের মঞ্চ সব প্রস্তুত। চলছিল ভিডিও ধারণ। কনে সাজানোর জন্য এসেছেন বিউটিশিয়ান। বরযাত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন পাঁচ শতাধিক। কোনো কিছুরই কমতি ছিল না এ অনুষ্ঠানে।
শুক্রবার জাঁকজমক আয়োজন দেখা গেছে শেরপুর পৌর শহরের ধুনটমোড় এলাকায়। কনে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর এলাকার আকরাম হোসেন-মঞ্জুয়ারা বেগম দম্পতির সন্তান আঁখি আক্তার। বর ওমর ফারুক মামুরশাহী গ্রামের হযরত আলী-পারুল বেগম দম্পতির সন্তান। শেরপুর-ধুনট বন্দর মোটর শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন করা হয়।
কনে আঁখি আক্তার বলেন, ‘অভাবের সংসার। কষ্টে বড় হয়েছি। পৌরসভার জায়গায় তোলা খুপরি ঘরে আমাদের বসবাস। বাবা অন্যের ট্রাক চালিয়ে যে টাকা আয় করেন তা দিয়েই কোনো রকমে সংসার চলে। তাই কখনও কল্পনাতেও এমন ধুমধাম করে আমার বিয়ে হবে ভাবিনি।’
আকরাম হোসেনের সংসারে স্ত্রী ছাড়াও দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্বন্ধ এলেও টাকার অভাবে আঁখির বিয়ে দিতে পারছিলেন না। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন শেরপুর-ধুনট বন্দর মোটর শ্রমিক কল্যাণ সংস্থা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আকরাম হোসেন।
বিয়ের মধ্যস্থতাকারী আবু হানিফ বলেন, ধর্মীয় আচার মেনে বিয়ে পড়ান মুফতি শফিকুল ইসলাম। স্বর্ণালংকার দিয়ে বর-কনেকে সাজানো হয়েছে। সংসারের জন্য আসবাব দেওয়া হয়েছে। এসবই করা হয়েছে শেরপুর-ধুনট বন্দর মোটর শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে।
শেরপুর-ধুনট বন্দর মোটর শ্রমিক কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা জানে আলম খোকা ও আরিফুর রহমান মিলন বলেন, ‘পরিবারটি অসহায়। তাই সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি আমরা। স্থানীয় অনেকেই এই মহতী কাজে সহযোগিতা করেছেন।’
- বিষয় :
- বিয়ের অনুষ্ঠান
- উপহার
- বগুড়া
- শেরপুর