ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আব্দুর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৬:২০ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৬:৪৬

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুকুরের মালিক দাবিকারী মো. ইয়াহিয়া ও তাঁর পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাঁদের দাবি, ১৭ বিঘার ওই পুকুরটিতে অন্তত ১০০ মণ মাছ ছিল। যার অধিকাংশই তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত দুই ভাই। 

সোমবার গভীর রাতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চণ্ডীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানা, ইউএনও ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৭ বিঘার পুকুরটির প্রায় ১০ বিঘার মালিক প্রয়াত আজগার আলীর সন্তানেরা। বাকি ৭ বিঘার মধ্যে সাড়ে চার বিঘা স্থানীয় গ্রামবাসীর এবং সোয়া দুই বিঘার মালিক আব্দুর রশীদ ও তার ভাই খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। এই দুই বিঘার ক্ষমতাবলেই তারা পুকুরটি দখলে নেন দুই ভাই।

ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া বলেন, ৩ দফায় ধার-ধেনা করে পুকুর সাজিয়েছি। প্রতিবারই রশীদ এটি ভেঙে দখলে নিয়েছেন। পুকুর কাটার দুই বছরের মাথায় গ্রাম্য নেতাদের মাধ্যমে চাপ দিয়ে আমাকে এখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় লিজ বাবদ প্রতিবছর টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ বছরে আমাকে এক টাকায় দেননি রশীদ।

তার দাবি, শুধু লিজের এই টাকা (প্রচলিত নিয়মে ২০ হাজার) ধরলেও গত ১৪ বছরে রশীদের কাছ থেকে তার পাওনা ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তিনি অবৈধ উপায়ে গতকালের মাছ ধরা এবং গত ১৪ বছরের ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, ১১ বছর ধরে পুকুরটির মালিক আমি। অন্য মালিক এবং ইয়াহিয়া তার অংশটুকুও আমার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। দলিলও আছে। আমার পুকুরের মাছ আমি তুলব, বিক্রি করব এটাই স্বাভাবিক।

আরেক অভিযুক্ত খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা পুকুর ভোগ দখল করছি। তাদের ভাইবোনের অংশ আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। এখানে তাদের কোনো জমি নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপক্ষে করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

×