কক্সবাজারে কৃষকলীগ নেতাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা

ছবি-সমকাল
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৩১
কক্সবাজার শহরে সবুজে ঘেরা চারটি পাহাড় কেটে আবাসিক এলাকা তৈরির অভিযোগে কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. আব্দুছ ছালাম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী। তিনি কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়া এলাকার মৃত মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। এছাড়া আসামি হিসেবে রয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম মানিক(৩৬), কক্সবাজার পৌরসভার বড়ুয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা কালী চরণ বড়ুয়ার ছেলে লিটন বড়ুয়া (৪৪), ঈদগাও মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা লেদু মিয়ার মেয়ে রশিদা বেগম (৩৮), পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া শিলখালী এলাকার বাসিন্দা মৌলভী করিমদাদের ছেলে ডাক্তার মুজিবুল হক (৬৫), কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাকখালী পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
মামলা নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম।
কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর পাহাড় কাটা নিয়ে সোমবার দৈনিক সমকালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এ মামলাগুলো করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরে সবুজে ঘেরা চারটি পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে আবাসিক এলাকা। ওই এলাকায় ছোট ছোট প্লট তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজার জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এসব পাহাড় কাটা ও প্লট নির্মাণ চলছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী এই নেতা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি পাহাড় দখল করে পরিবেশ বিধ্বংসী এসব কাজ চালিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ। তারা চারটি স্থানে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়।
পরে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, শহরের কলাতলী এলাকায় চারটি স্পট পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়ায় পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়েছে। তবে নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে কয়েকদিন দেরি হয়েছে। এছাড়া মামলা করার জন্য পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশনাও ছিল।
- বিষয় :
- পাহাড় কাটা
- মামলা
- পরিবেশ অধিদপ্তর