স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত স্বজনরা

অভিযুক্ত যুবক টুটুল। ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৬:২৮
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের চৌবাড়ি গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করে ধর্ষকের পরিবার। নিষেধ অমান্য করে শুক্রবার সকালে থানায় মামলা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন স্বজনরা।
আহত তিনজনকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে কামারখন্দ থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এজাহারে চৌবাড়ি গ্রামের টুটুলকে (১৮) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া, টুটুলের বাবা সোহরাব আলী, চাচা সরোয়ার, অপর চাচা আলম ও তার ছেলে মাহিসহ কয়েকজনকে মারপিটের আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর মেয়েটির মা বলেন, আমার বড় মেয়ে অসুস্থ হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি সেখানে যাওয়ায় ছোট মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। এ সুযোগে প্রতিবেশী টুটুল বুধবার রাতে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর আমার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমরা পরদিন মামলা করতে চাইলে আমাদের এলাকাছাড়া করার ভয়ভীতি দেখানো হয়। অবশেষে শুক্রবার সকালে মামলা করতে গেলে আমার দুই দেবর ও তার স্ত্রীসহ তিনজনকে টুটুল ও তার পরিবার মারপিট করে। আমাদের ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরে ট্রিপল-নাইনে কল করে পুলিশের সহায়তা নিয়ে দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দেই।
কামারখন্দ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, সকালে ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিকেলে ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ দেন। ঘটনাটি প্রেমঘটিত বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেলেও অপ্রাপ্ত বয়স্কা হওয়ায় মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত টুটুলের মোবাইল শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাবা সোহরাব আলী বলেন, তারা আমার ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সংখ্যায় কম থাকায় মেয়েটির পরিবার ও স্বজনরা আমাদের ঘরবাড়ি কুপিয়েছে।
- বিষয় :
- ধর্ষণ
- ধর্ষণের মামলা
- সিরাজগঞ্জ