চসিক
অনিশ্চয়তা কেটেছে, আগামী সপ্তাহে শপথ ডা. শাহাদাতের

ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | ২২:২১
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র পদে শপথ নিতে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনের আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। নেই আইনি বাধাও। কারণ, আজ বৃহস্পতিবার চসিক মেয়রসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ফলে আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন ডা. শাহাদাত হোসেনের শপথ গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন চসিক কর্মকর্তারা।
গত ১৯ আগস্ট মেয়রদের অপসারণের প্রজ্ঞাপনের সংশোধন করে গতকাল সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে তিন নম্বর ক্রমিক বিলুপ্ত করা হয়েছে। তিন নম্বরে চসিক মেয়র ছিল। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ১৩ (ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। এখন ওই প্রজ্ঞাপনের ক্রমিক নম্বর ৩ বিলুপ্ত করে সংশোধন করা হলো।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেনের শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগও প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী সপ্তাহে শপথ হবে।’
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে রেজাউল করিমসহ ৯ জনকে বিবাদী করে মামলা করেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পাওয়ায় ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতেও সরকারকে নির্দেশ দেন। ৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির চিঠি পাওয়ার পর করণীয় জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কারণ, গত ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন সংশোধন করে রেজাউল করিম চৌধুরীসহ দেশের ১২ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে চসিকের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই অবস্থায় আইনি জটিলতা তৈরি হবে কিনা, তা জানতে চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ডা. শাহাদাতের শপথের পক্ষে মতামত দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পর ডা. শাহাদাতের শপথের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।