পাওয়া যাচ্ছে পান পাতার লাড্ডু

‘পান পাতার লাড্ডু’ হাতে দুই শিক্ষার্থী। ছবি: সমকাল
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৩৪ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯:৪২
পান পাতার লাড্ডু! নামটি বিস্ময়কর। তবে যারা পান খেতে পছন্দ করেন না তারা এই লাড্ডু খেয়ে তৃপ্তি পাবেন। সেই সাথে পান পাতায় যে নিউট্রেশন রয়েছে সেটিও পাবেন। কোরিয়ান স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় এই লাড্ডু তৈরী করেছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রতিুজ্জামান রিশাদ ও রিফাত দ্বীপ।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে ২ দিনব্যাপী ফুড এক্সিবিশনে দেখা মেলে এই লাড্ডুর। আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের সোসাইটি অব ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ কুদরাত এ খুদা একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় প্রবেশ করেই দেখা যায় বেশ কয়েকটি স্টল। যেগুলো পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে কোরিয়ান ফুড নামের দোকানে এই পান পাতার লাড্ডুকে ঘিরে ছিল মানুষের কৌতুহল বেশি। এছাড়াও সেখানে আমলকির মোরব্বা, চালতার বার ও ক্যান্ডি, পেপের আচার, লেমন কেক, ড্রাগন জ্যাম, ওনিয়ন পিকেল, চুই পিঠার মত আইটেম নিয়ে স্টল দেয় শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ক্ষির, পায়েস, নাড়ু, পিঠা ও মিষ্টির বাহার, বিস্কুট, কেক, আচারসহ চিরচেনা পদের খাবার তো রয়েছেই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই তৈরী এসব পণ্যে নেই কোন ক্যামিকেল, কৃত্রিম রং কিংবা ক্ষতিকর কিছু। সম্পূর্ণ নিরাপদ এসব খাদ্যপণ্য তৈরী করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ কুদরাত এ খুদা একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হাবিপ্রবি’র জরুরী আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ। তদারকি করেন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মফিজউল ইসলাম, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির, বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ, সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. সাজ্জাত হোসেন সরকার, প্রক্টর প্রফেসর ড. শামসুজ্জোহা, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) খাদেমুল ইসলাম।
শিক্ষার্থী রিফাত দ্বীপ বলেন, এখানে যা তৈরী হয়েছে সব পুষ্টিমানে ভরপুর। যার মধ্যে পান পাতার লাড্ডু একেবারেই নতুন একটি আইডিয়া। গবেষণার মাধ্যমে আমরা সঠিক পুষ্টির বিষয়টিও এখানে নিশ্চিত করেছি।
ফুড ও প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাফায়েত বলেন, বাজারে যেসব খাবার বিক্রি হয় তাতে রাসায়নিকযুক্ত রং ব্যবহার হয়। এমনকি মরিংগা পাউডারেও রং ব্যবহার করা হয়। এখানকার খাবার স্বাস্থ্যসম্মত তা নিশ্চিতভাবে বলরে পারি।
বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২৪ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেসিং এণ্ড প্রিজারভেশন বিভাগের প্রফেসর ড. মারুফ আহমেদ বলেন, খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। এটি সুন্দর ভবিষ্যত ও সুন্দর জীবনের জন্য নিরাপদ হতে হবে। এখানে ১০টি স্টল দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে এসেছে। এই পান পাতার লাড্ডুও ঠিক এরকম একটি মিষ্টান্ন।