‘তোমার বাবা এতদিন বাইরে রাখতে পেরেছে, আরও কিছুদিন পারবে’

ফাইল ছবি
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮:৪০ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮:৪৬
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমাতুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিট বণ্টনে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদা নাসরিন কনক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তাহমিদা কনক বলেন, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতা ও একাডেমিক ফলাফলসহ যেকোনো মানদণ্ডেই তার নিশ্চিতভাবে সিট হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। নীতিমালা অনুসারে তার সর্বমোট স্কোর হয় ৯২; প্রকাশিত ফলাফল বিবেচনা করলে যা সর্বোচ্চ স্কোর হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে ৮৪ নম্বর পেয়ে অন্যান্য বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীরা আসন পেলেও তাকে আসন দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে, হল প্রাধ্যক্ষ তাকে অপমানিত করেছেন। প্রাধ্যক্ষ ভুক্তভোগীকে বলেন, ‘তুমি কি আগের প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছ?’ এর আগে আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে হলে সিটের জন্য আবেদনপত্র দিতে গেলে প্রাধ্যক্ষ তাকে বলেন, ‘তোমাকে দেখে তো হতদরিদ্র মনে হয় না। তোমার বাবা এতদিন তোমাকে বাইরে রাখতে পেরেছে, আর কিছুদিন পারবে। তুমি একটু কষ্ট করে বাইরেই থাক; আগে ৫টা জামা কিনলে এখন ২টা কিনবা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রহমাতুন্নেসা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসমাত আরা বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে সিট বণ্টন করেছি। ওই শিক্ষার্থী আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ দিয়েছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হয়রানির উদ্দেশে করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন সিট বণ্টনের কোনো নিয়ম-কানুন ছিল না। একটা ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আসনগুলোকে নিয়ে বাণিজ্য করেছে। এখানে একটা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে ভুল ত্রুটি থাকলে সমাধান করা যাবে।
- বিষয় :
- রাবি
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- আবাসিক হল