বিএনপি নেতার ‘ক্যাডারদের’ হাতে যুবদল নেতা খুন

প্রতীকী ছবি
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫:৪৩ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫:৪৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতার ‘ক্যাডারদের’ হামলায় এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিয়া খানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের ভগ্নীপতি আলমগীর দাবি করেন, হামলাকারীরা মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ও তার ছোটভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের ক্যাডার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক যুবদল সভাপতি ইউনুছ আলী ওরফে এরশাদ মাঝি স্থানীয় গুচ্ছ গ্রাম লিজ নেওয়া জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করতে যান। এ সময় স্থানীয় জলদস্যু নিজামের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী জাবেদ, জিয়া খান, সুজন ও তারেক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে ইউনূছ আলী ওরফে এরশাদ মাঝিসহ তার ছোট ভাই জহির উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন ও ফরহাদের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় এরশাদ মাঝিকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এরশাদ মারা যান।
এরশাদ মাঝির পিতা রইছুল হক জানান, নিজাম ডাকাতের ছেলে সন্ত্রাসী সুজন আমার ছেলের পেটের মধ্যে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে তার পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। অন্য সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার তিন ছেলেকে আঘাত করেছে।
নিহতের ভগ্নীপতি আলমগীর জানান, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ও তার ছোটভাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদা না পেয়ে যুবদল নেতা এরশাদকে হত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল সমকালকে বলেন, যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা আমার দলের কেউ না। আমি এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাহাজাহান বলেন, নিজাম ডাকাতসহ ওদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় নাই। আমরা তাদের চিনিও না। আমরা মুছাপুর ইউনিয়নের, তারা চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মানছুরুল হক বাবরের ফোন নম্বরে বার বার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম সমকালকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। রাতেই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জিয়া খানসহ সন্দেহভাজন আরও ৪ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।