ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

মেহেদির দাগ না মুছতেই গৃহবধূকে ‘হত্যা’, লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল স্বামী

মেহেদির দাগ না মুছতেই গৃহবধূকে ‘হত্যা’, লাশ হাসপাতালে রেখে পালাল স্বামী

প্রতীকী ছবি

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | ০২:৪৮

মেহেদির দাগ এখনও ওঠেনি। এরই মধ্যেই স্বামীর হাতে নববধূ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে শান্তা নামে এক মৃত নববধূকে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জুয়েল মিয়ার মেয়ে।

একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি নওশাদ আলম ওরফে মুরাদের সঙ্গে পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয় শান্তার (২৫)। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুর (পুরাতন গরুহাটী) এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন মুরাদ।

শনিবার দুপুরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পাঁচ মাস যেতে না যেতেই মুরাদ ও শান্তার মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ শুরু হয়।
স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন মুরাদ। প্রায় প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে ফিরে স্ত্রীকে নানা বিষয় নিয়ে গালাগাল করতেন। শুক্রবার বিকেলেও কয়েক দফা ঝগড়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় অসুস্থ শান্তাকে একটি রিকশায় শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে শান্তাকে মৃত ঘোষণা করলে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।

শান্তার স্বামীকে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেন। রাতে পুলিশ এসে লাশ তাদের জিম্মায় নেন।

এ ব্যাপারে জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) হুমায়ুন আহমেদের ভাষ্য, গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেওয়ার মতো দাগ ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত শ্বাসরোধে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শান্তার বাবা জুয়েল মিয়া দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে মুরাদ। 

শেরপুর সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। মৃত গৃহবধূর বাবা জুয়েল মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন

×