‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ পিটুনিতে নিহত ১, আটক ৩

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় মাধবপুর ইউনিয়নের নুরজাহান চা বাগানে পিটুনিতে আলাল মিয়া (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন দু’জন। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদের বাড়িতে তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন।

নিহত আলাল মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় দু’জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে পুলিশ আরও একজনকে আটক করেছে।

ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল ইউপি সদস্যের বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে চা বাগানের পাগলা ঘণ্টা পেটালে শ্রমিকরা তাদের ঘেরাও করে। এ সময় তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের পিটুনি দেয়। পরে আহত অবস্থায় আলাল মিয়াকে পুলিশে দেওয়া হয়।

এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান। রোববার ভোরে রক্তের ছাপ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিদ আলির ভাতিজা সেজুল মিয়ার লংগুরপাড় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছে বলে গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় চারজন পালিয়ে গেলেও সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়।

রোববার সকাল ৯টার দিকে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শ্রীপুর গ্রামের জাসিম মিয়া ওরফে জসিমকে আটক করে পুলিশে দেন চা শ্রমিকরা। পরে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আলাল মিয়া রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। জনরোষ থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কাছে দেশি অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।