ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

তিন চিকিৎসকে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

তিন চিকিৎসকে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সৌমিত্র শীল চন্দন, রাজবাড়ী 

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ২৩:৪৩

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীও খুব একটা যায় না সেখানে। দোরগোড়ায় হাসপাতাল থাকলেও তার সুফল খুব একটা ভোগ করতে পারছে না উপজেলাবাসী। 
জানা গেছে, দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া নামক স্থানে অবস্থিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খুব দায়ে না পড়লে কেউ চিকিৎসা নিতে যায় না সেখানে। একটু বেশি সমস্যা হলে রোগীরা ছোটেন রাজবাড়ী শহর অথবা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে। 
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানে ১০ জন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা। রয়েছেন মাত্র তিনজন। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পদটি শূন্য রয়েছে ছয় মাসেরও বেশি সময়। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) আক্তার হোসেন ডেপুটেশনে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্সের কোনো ঘাটতি নেই। ৩০ জন নার্স রয়েছেন এখানে। তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দু’জনকে নিয়োগ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। আয়া ও ওয়ার্ডবয় দু’জন করে থাকার কথা। নেই একজনও। 
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের পাশে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় এর গুরুত্ব অনেক। মাঝেমধ্যে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে মহাসড়কে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য সেখানে নেওয়া যায় সহজেই। কিন্তু চিকিৎসকই যদি না থাকে তাহলে নিয়ে কী হবে? সেখান থেকে হয় রাজবাড়ী, নয়তো ফরিদপুর পাঠাবে। এতে সময় নষ্ট হয়। এ কারণে অনেকেই আগেভাগে রাজবাড়ী অথবা ফরিদপুর রোগী নিয়ে যায়। 
হাসপাতালের সামনে মুদি দোকানি হযরত আলী জানান, আগে ডাক্তার ছিল; রোগীও ছিল। এখন ডাক্তার নেই। তাই রোগীও কম আসে। ডাক্তার কবে আসে, কবে চলে যায়, কিছুই বোঝা যায় না। এভাবে একটা হাসপাতাল চলে না। 
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান উম্মন বলেন, মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। মর্নিং, ইভনিং, নাইট– তিন শিফট চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় আড়াইশ রোগী আসছে। তাদের দেখছেন মাত্র দু’জন ডাক্তার। পরপর তিন দিন তিনি নিজে রাতে ডিউটি করেছেন। আবার তাঁকে প্রশাসনিক বিষয়টি দেখতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের আস্থাহীনতার জায়গা তৈরি হচ্ছে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহীম টিটন সমকালকে বলেন, সেখানে চিকিৎসক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে। 

আরও পড়ুন

×