ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

চার মাস পর কাজীরহাট-আরিচা রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু

চার মাস পর কাজীরহাট-আরিচা রুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু

ছবি: সমকাল

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭:২৫

পাবনার বেড়া উপজেলার কাজীরহাট-আরিচা নৌরুটে চার মাস পর স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। শনিবার থেকে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পোর্ট) এ কে এম আরিফ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরিফ উদ্দিন জানান, গত ৫ আগস্টের পর এ রুটের দু’পাড়ের বোট মালিকরা লাপাত্তা হয়ে যান। এ কারণে চার মাস স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ এমন উদ্যোগ নিয়েছে। লাপাত্তা বোট মালিকদের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে রুট পারমিটের জন্য আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

আগ্রহীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে কাজীরহাটের ৪৩ ও আরিচা ঘাটের ১১টি স্পিডবোট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আরও ৫০টির পারমিটের আবেদন রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাপ্তরিক ও আইনগত বাধা দূর করে বাকিগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী বহনসহ নানান বিধি মেনে স্পিডবোট চালানোর জন্য মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৬ সালে এ রুটে লঞ্চ ও ফেরির পাশাপাশি স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। ১৩ কিলোমিটারের এ রুটে চারটি ফেরি ও ৯টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে রাজধানীতে যাতায়াতের জন্য স্পিডবোট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ রুটে চলাচল করেন। ঈদের সময় দিনে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী পারাপার হন। আওয়ামী লীগ নেতারা আগে স্পিডবোটগুলো পরিচালনা করতেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান বোট মালিকরা। তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। এ পরিস্থিতিতে লঞ্চ ও ফেরিতে চলাচল করছিলেন যাত্রীরা। তবে সময় বেশি লাগায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় চাকরি করার সুবাদে স্পিডবোটেই যাতায়াত করেন। সময় ও অর্থ কম লাগে। তবে প্রায় চার মাস স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ফের চালু হওয়ায় অল্প সময়ে ঢাকা-পাবনা যাতায়াত করা যাবে।

কাজীরহাট ঘাটের স্পিডবোট ব্যবসায়ী ফেরদৌস হোসেন ও আব্দুল বাতেনের ভাষ্য, এ রুটে ২০ থেকে ২৫টি স্পিডবোট চালানো যথেষ্ট হলেও আওয়ামী লীগ নেতারা ৮০টি চালাতেন। ১৬ জন ধারণক্ষমতা থাকলেও ২১ জন বহন করত। তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে যাত্রীদের ভালো সেবা দিতে চান।

বিআইডব্লিউটিএর নগরবাড়ী-কাজীরহাট-নরাদহ নদীবন্দরের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, মালিক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও স্পিডবোট চালু করা যায়নি। অবশেষে নতুন করে অনুমোদনসাপেক্ষে এ সেবা চালু করা হলো। আগের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

×