কালীগঞ্জে সংঘর্ষে একজন আহত, আটক ৮

.
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯:২২
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দু’পক্ষের মারামারি, দোকান ভাঙচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওহিদুল ইসলাম নামে একজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটজনকে আটক করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বারবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন– উপজেলার বারবাজার ফুলবাড়ী গ্রামের বুলবুল বিশ্বাস, রবিউল ইসলাম, আজিজুল মণ্ডল, আশিকুজ্জামান, নাজিম উদ্দিন, জাফর ইকবাল, জহুরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী ও বারবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ বাদী হয়ে থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করেছেন।
বাদী শফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১টার দিকে বারবাজার ছাগল হাটে ফুলবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তি টং দোকান বসায়। এ সময় শফিকুল ইসলাম ওই ব্যক্তিকে দোকান বসাতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফুলবাড়ী গ্রামের কালাম বেপারি শফিকুলের ভাই ওহিদুলকে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে তারা ওহিদুলকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনা নিয়ে সন্ধ্যার পর বারবাজারে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিশের আগেই ফুলবাড়ী গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বাজারে এসে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টিসহ শফিকুলের দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বারবাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত হাতবোমার কিছু অংশ উদ্ধার করে। পরে শনিবার গভীর রাতে বারবাজারে আবারও হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে ফুলবাড়ী গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামের একটি স্কুল মাঠে জড়ো হচ্ছিল। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গ্রামের আটজনকে আটক করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় রোববার বারবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ বনি আমিন পাইক বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে আটক আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঝিনাইদহ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।