ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ঠিকাদারকে চড় মারলেন এসিল্যান্ড

ঠিকাদারকে চড় মারলেন এসিল্যান্ড

এসিল্যান্ড প্রতীক দত্ত

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৭:৫৪ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০:৪০

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক ঠিকাদারকে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড প্রতীক দত্তের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার সকালে এসিল্যান্ডের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের জামিলা গ্রামে চড় মারার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝবাড়ি-রাধাগঞ্জ সড়কের জামিলা এলাকায় এলজিইডির একটি ব্রিজের নির্মাণকাজ চলছে। ওই কাজের ঠিকাদার আব্দুস সামাদকে খাল থেকে মাটি তোলা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড় মেরে বসেন এসিল্যান্ড প্রতীক দত্ত। এ সময় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আজম, উপসহকারী প্রকৌশলী মনজুরুল হক ও নির্মাণ শ্রমিকসহ অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হলে এসিল্যান্ড প্রতীক দত্ত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

শ্রমিক আবুল বাশার বলেন, আমরা ব্রিজ নির্মাণের সময় রাস্তার মাটি কেটে খালের কিনারায় রাখি। এখন ব্রিজের কাজ শেষ হওয়ায় ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের জন্য সেই মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে খাল থেকে উত্তোলন করে দিচ্ছিলাম। এ সময় এসিল্যান্ড স্যার আসেন। তিনি ঠিকাদার সামাদকে খাল থেকে মাটি উত্তোলন নিয়ে বকাঝকা করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। ঠিকাদারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এসিল্যান্ড স্যার উত্তেজিত হয়ে ঠিকাদারের গালে চড় মারেন। ঠিকাদার মাটিতে পড়ে যান। এতে তার পায়ের আঙুল কেটে যায়। 

জামিলা গ্রামের হান্নান শেখ বলেন, এসিল্যান্ড যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা আসলেই ন্যক্কারজনক। আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই।  

ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, এসিল্যান্ড স্যার আমার সঙ্গে যা করেছেন তা নিয়ে প্রশাসনের ওপর মহল থেকে আমার শ্বশুর ইউনুস শরিফের সঙ্গে মীমাংসা করেছে। আমাকে কিছু বলতে বলবেন না। ওপর মহল থেকে ঝামেলায় আছি।

আব্দুস সামাদের শ্বশুর ইউনুস শরিফ বলেন, আমার জামাইকে চড় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ড মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে ভুল স্বীকার করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে এসিল্যান্ড প্রতীক দত্ত বলেন, আমার সঙ্গে ঠিকাদার আব্দুস সামাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। চড় মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তা মীমাংসা হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

আরও পড়ুন

×